প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:৩৪ অপরাহ্ন
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আনসারদের আন্দোলনে বহিরাগতদের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। হামলা ও মামলার আগেই আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদকে আহ্বায়ক করে একটি সুপারিশ কমিটি গঠন করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আনসার শাখা-২। গত ২৩ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের উপসচিব একে এম আল আমিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
কমিটির সদস্য সচিব করা হয় আনসার সদর দফতরের পরিচালক (প্রশাসন) জাহানারা আক্তারকে। যদিও তিনি কাজ শুরুর আগেই বদলি হয়ে যান। এই কমিটিতে বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চার সমন্বয়ককে রাখতে বলা হয়। কিন্তু সচিবালয়ে ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হওয়ায় আন্দোলনের নেতারা এখন পলাতক। ফলে সুপারিশ কমিটিকে সাত দিনের সময় দেওয়া হলেও ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩ দিন পার হয়েছে।
সূত্র মতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণলায়ের গঠন করা কমিটি এখন কাজ করছে না। কারণ এই কমিটি গঠনের পর ২৫ আগস্ট আন্দোলনরত আনসার সদস্যরা সচিবালয়ে ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটান। এছাড়াও কমিটিতে যাদের নাম রয়েছে তাদের অনেকেই বদলি হয়ে গেছেন। তাই পুরো ঘটনা তদন্তে আনসার সদর দফতর একটি আলাদা অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলার ঘটনা তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে প্রতিবেদন এখনো জমা দেওয়া হয় নি।
আনসার সদর দফতরের তথ্য মতে যে সকল আনসার সদস্যরা সেদিন আন্দোলনে গিয়েছিলেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে। আর যারা আন্দোলনে যান নি দায়িত্ব পালন করছেন তাদেরও তালিকা করা হচ্ছে। দুই তালিকা মিলিয়ে আন্দোলনরতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর তাদের মাধ্যমে বহিরাগতদের বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত হতে কাজ করছে তদন্ত কমিটি।
বিশৃঙ্খলার তদন্ত হলেও এই কমিটিই দাবি বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরিতেও কাজ করবে। অভ্যন্তরীণ কমিটির মাধ্যমে আন্দোলনের নামে বিশঙ্খলাকারীদের চিহ্নিত করতে কাজ চলছে। পাশাপাশি অঙ্গীভূত সাধারণ আনসারদের দাবি বাস্তবায়নে করণীয় সুপরিশের কাজ চলমান রয়েছে।
এদিকে, সচিবালয়ে ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও সেনাসদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আন্দোলনরত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তিন থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয়সহ ১০ হাজার আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়। তিন মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৭২ জন আনসার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।