প্রকাশ: রোববার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: রোববার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:৪৩ অপরাহ্ন
আজ রোববার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞা দেয়া অন্য সদস্যরা হলেন: আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তার সন্তান সাফিয়া তাসনিম খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, সাবেক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. হারুন অর রশীদ বিশ্বাস, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস মনির হোসেন ও শাফি মোদ্দাছির খান।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও অন্যদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতরে বদলি, পদোন্নতি, জনবল নিয়োগ ও কেনাকাটায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগটির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
এর আগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে গত ১৫ আগস্ট পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। এই কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেবে।
দুদকে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তাঁর সহযোগীরা সিন্ডিকেট করে ঘুষবাণিজ্য করতেন। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পরই আসাদুজ্জামান ঘুষ হিসেবে বস্তা বস্তা টাকা নিতেন। পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে এই টাকা আদায় করা হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এ জন্য তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য ছিলেন যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন। টাকা আদায় বা উত্তোলনে মূল ভূমিকা পালন করতেন হারুন অর রশীদ বিশ্বাস। হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই কামাল-হারুন সিন্ডিকেট। এসব টাকা দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
সাবেক মন্ত্রীর এই সিন্ডিকেট জেলায় পুলিশ সুপার নিয়োগসহ গুরুত্বপূর্ণ পদায়নে ঘুষ নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সে কোনো সার্কুলার হলে নিয়োগের জন্য মন্ত্রীর দপ্তর থেকে তালিকা পাঠানো হতো।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আট মন্ত্রী ও ছয় সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।