প্রকাশ: বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪, ২:০৯ অপরাহ্ন
সরবরাহে সংকট থাকায় বাজারে বেড়েছে শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম। চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় কোনো কোনো পণ্যের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন, তেমনি কমেছে বিক্রি।
সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বাসাবো, খিলগাঁও, মাদারটেক বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি বেগুন (লম্বা) মানভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সারাদেশে কারফিউ জারির আগে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কারফিউ জারির আগে প্রতিকেজি ধুন্দুল ৪০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৩০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কারফিউয়ের আগে প্রতিকেজি ঝিঙা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। প্রতিকেজি করলা ৮০ টাকা বেড়ে আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। ৫০ টাকা কেজির শসা ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি দরের চিচিঙ্গা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
এছাড়া বাজারে কারফিউয়ের আগে ৪০ টাকা কেজির ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ৬০ টাকার মুলা ৮০ টাকা, ৬০ টাকার বরবটি ১০০ টাকা, ১৬০ টাকার গাজর ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আজ কিছুটা দাম কমেছে কাঁচামরিচের। কারফিউয়ের আগে বাজারে প্রতি ২৫০ গ্রাম মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
লাউশাক প্রতি আঁটি ৫০ টাকা, ডাটা শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, লালশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কারফিউয়ের আগে এসব শাকের দাম আঁটিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কম ছিল।
খিলগাঁও বাজারে ১৫ বছর ধরে সবজি বিক্রি করছেন ফারুক মিয়া বলেন, আড়তে মাল নেই। সারাদেশ থেকে সবজি আসতে না পারায় সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে পাইকারি বিক্রেতারা প্রতিটি সবজির পাল্লা (৫ কেজি) বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফলে বাধ্য হয়েই আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি। অতিরিক্ত দামের কারণে অনেক ক্রেতাই দাম জিজ্ঞেস করে চলে যাচ্ছেন। অনেকেই আবার চাহিদার তুলনায় অল্প পরিমাণে সবজি কিনে বাসায় ফিরছেন।
আসাদুজ্জামান নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সব জিনিসে যেন আগুন লেগেছে। সবমিলিয়ে মানুষ ভালো নেই। মানুষ যে একটু সবজি খাবে সে উপায়ও নেই। সবকিছু দ্রুত স্বাভাবিক হোক, নাগালের মধ্যে আসুক, এটাই প্রত্যাশা।