দেশের চলমান সহিংসতার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ শিথিলের ৫ দিন পর খুললো নাটোরের দোকানপাট, ব্যাংকসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে আতংঙ্ক ছেড়ে জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্বাভাবিক হচ্ছে যান চলাচল।
আজ বুধবার(২৪ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শহরের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত মালিক-কর্মচারী। অন্যদিকে কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এতে গ্রাহকদের চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের।
অপরদিকে, শহরের ব্যস্ত সড়কগুলোতে আগের মতো যান চলাচল স্বাভাবিক হতে দেখা গেছে। তবে নাটোর থেকে বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
আয়নাল হক নামে এক অটোরিকশা চালক বলেন, কয়েক দিন রিকসা নিয়ে বের হতে পারিনি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে দিন কেটেছে। ঘরে কিছু চাল কেনা ছিল তা দিয়ে কোনো মতে দিন পাড় করেছি। ৬ দিন পর আজ রিকসা নিয়ে বের হয়েছি। আমরা দিনমজুর মানুষ দেশে মারামারি অশান্তি চাই না। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।
ভ্যান চালক রহিম শেখ বলেন, দোকানপাট, অফিস বন্ধ থাকলে আমাদের রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের মালামাল বহন করেই আমাদের পেট চলে। কয়েকদিন কারফিউ মধ্য বের হতে পারিনি। বাড়িতে সুয়ে-বসে দিন পাড় করেছি। সব বন্ধ থাকলে কষ্ট হয় আমাদের মতো দিনমজুর মানুষের। যতই বন্ধ থাকুক চাকরিজীবীদের বেতন ঠিকই পায়। আমরা পড়ি কষ্টে।
আরেক অটোরিকশা চালক আবুল হোসেন বলেন, ঘরে চাল ছিল না, তাই বাধ্য হয়ে কারফিউ মধ্য রিকশা নিয়ে বের হয়েছিলাম। যা ভাড়া মেরেছি, তা দিয়ে চাল কিনে বাড়ি ফিরেছি। আজ থেকে সব আগের মতো হয়ে গেছে। তাই রিকশা নিয়ে বের হয়েছি, চাল, সবজি কিনে বাড়ি ফিরবো।
যাত্রীবাহী বাস চালক রবিন হোসেন বলেন, ৬ দিন পর আজ থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ভয়ে-আতংঙ্কে যাত্রী নেই, খুবই কম। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ যাচ্ছে না। অনেক সময় বাস দাঁড় করিয়েও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, নাশকতা, সহিংসতাসহ কয়েকটি মামলায় নাটোরে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে নাটোর। আইন-শৃংখলার বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছে।