প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪, ৯:৩১ অপরাহ্ন
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতের জেরে টানা ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত। গত বুধবার রাত থেকে ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট এবং বৃহস্পতিবার থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। গত সোমবার রাত পর্যন্ত কোনো ধরনের ইন্টারনেট চালু হয়নি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় অ্যাপভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। বৈদেশিক লেনদেন, ই-কমার্স, অনলাই আর্থিক সেবা, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং ও ফুড ডেলিভারি সেবা, মোবাইল রিচার্জসহ নানা ব্যবসা ব্যাহত হচ্ছে।
অন্যদিকে, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরাও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা কোনো ওয়েবসাইটেই প্রবেশ করা যাচ্ছে না মোবাইলসহ কোনো ডিভাইস থেকে।
ইন্টারনেটের অচলাবস্থার নিরসনের দাবি জানিয়েছে- তথ্য-প্রযুক্তি খাতের পাঁচটি সংগঠন-বেসিস, বিএসএস, আইএসপিএবি, বাক্কো ও ই-ক্যাব।
সংগঠনগুলোর সভাপতিদের দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের সব ব্যবসাই ইন্টারনেট নির্ভর। তথ্য-প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী প্রযুক্তিসেবা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাঁচ সংগঠনের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, শিক্ষার্থদের কোটা আন্দোলনের দাবি সরকার নীতিগতভাবে মেনে নেয়ার পরও কিছু দুষ্কৃতিকারীর কর্মকাণ্ডে সমগ্র দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে প্রাণহানি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে আমরা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন করাও এক ধরনের নাশকতা। তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ইন্টারনেট প্রদানের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।