প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪, ৭:১৬ অপরাহ্ন
ঋণখেলাপিদের সুদ মওকুফ করা আপত্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। তিনি বলেন, বড় বড় ঋণখেলাপিদের ঋণের সুদ মাফ করা হচ্ছে। ঋণখেলাপিদের ঋণের সুদ মওকুফ করা খুবই আপত্তিকর। সরকারি ব্যাংকগুলো যে ৫০ হাজার কোটি টাকা সুদ মওকুফ করেছে, তা খেলাপি ঋণ হিসেবে গণ্য করা উচিত।
সাবেক এই গভর্নর বলেছেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে আইএমএফের প্রভাব থাকায় পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনায় তেমন দিকনির্দেশনা দেখা যায়নি। অর্থপাচার, দুর্নীতি ও ঋণখেলাপির চক্র রোধ করা না গেলে এটিই সরকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্কে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে আজ (৫ জুলাই) এই বিতর্কের সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা ১০ শতাংশের কাছাকাছি। বাজেট বক্তব্যে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে বললেও তা অর্জিত হবে না। মধ্যস্বত্বভোগীরা মজুত ও সরবরাহের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় খাদ্যাভাবে ১৯৭৪ সালে বহু লোকের মৃত্যু হয়। তাই মজুত ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদেশ থেকে যে ৯৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার কথা বলা হয়েছে, এটা মারাত্মক ক্ষতিকর অস্ত্র হতে পারে। সরকার দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয়ায় জোর দেয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক থেকে অধিক পরিমাণে ঋণ নিলে বিনিয়োগকারীরা ঋণ পাবে না। তাতে বিনিয়োগ আরও স্থবির হয়ে যাবে। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতির চাপ কমবে। সামাজিক নিরাপত্তা খাত শক্তিশালী হবে।
‘এবারের বাজেট টেকসই উন্নয়নে সহায়ক হবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকেরা বিজয়ী হয়েছেন।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন শিক্ষক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক জাকির হোসেন, দৌলত আক্তার মালা, উম্মান নাহার আজমী ও সুশান্ত সিনহা। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।