মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

শাহবাগসহ তিন এলাকায় বিজিবি মোতায়েন    ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ কারাগারে : ভারত সরকারের প্রতিবাদ     বাংলাদেশ সফরে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান    বশেমুরবিপ্রবিতে চলেছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান     কোভিড কর্মসূচির ঋণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ বাড়ি কেনার অভিযোগ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে    হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্ত : লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩১     আইপিএলে দল পাননি ইতিহাসের সেরা অনেক তারকা ক্রিকেটার   
মাচায় লাউ চাষ করে লাভবান মেহেরপুরের চাষিরা
মেহেরপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশ: শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ন

মেহেরপুর জেলায় মাচা পদ্ধতিতে বেড়েছে লাউয়ের আবাদ। লাউ শীতকালীণ সবজি হলেও সারাবছরই লাউয়ের আবাদ করছেন জেলার চাষিরা। তুলনামুলক শ্রম ও ব্যয় কম হওয়ায় মাচা পদ্ধতিতে বেশ জনপ্রিয়। বেশি ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় খুশি লাউ চাষিরা। 

কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় এবছর ২৩০ হেক্টর জমিতে লাউয়ের আবাদ হয়েছে। এসকল জমিতে প্রায় ৬০০০ টন লাউ উৎপাদন হবে। যা জেলার চাহিদা পূরণ করেও এক তৃতীয়াংশ লাউ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হবে। 

মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের লাউ চাষি আনসার আলী বলেন, অন্যান্য বছরে আমি পাটও ধানের আবাদ করতাম। গেল কয়েকবছর পাটের আবাদ করে মোটা অংকের টাকা লোকসান করেছি। পাটের আবাদে যে টাকা খরচ করেছিলাম তার অর্ধেক টাকাও ঘরে তুলতে পারিনি। ধানের আবাদেও সার, বিষ ও সেচ খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। এবছর দুই বিঘা জমিতে মাচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের লাউয়ের আবাদ করেছি। লাউ আবাদে সেচ ও শ্রমিক খরচ কম। পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন নেই। ফলে কীটনাশক ব্যবহার না হওয়ায় মানুষ বিষমুক্ত সবজি পাচ্ছে। আমার জমি থেকে প্রতি সপ্তাতে ৫০০ থেকে ১০০০ পিচ লাউ বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক টাকার লাউ বিক্রি হয়েছে। আশা করছি খরচ বাদ দিয়ে দুই লক্ষ টাকার লাউ বিক্রি হবে। 

লাউ চাষি হায়দার আলী জানান, এক বিঘা জমিতে মাচা পদ্ধতিতে মার্টিনা জাতের লাউয়ের আবাদে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। লাউয়ের উৎপাদন অনেক ভাল হয়েছে। তবে দাম কখনও কম আবার কখনও বাড়ছে। জমিতে লক্ষাধিক টাকা লাভবান হবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। ঝাউবাড়িয়া গ্রামের জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের জেলায় মুলত দুই জাতের লাউয়ের আবাদ হয়। আমি এক বিঘা জমিতে লম্বা হাইব্রিড জাতের ও এক বিঘায় গোলাকার দেশীয় জাতের লাউয়ের চাষ করেছি। লম্বা জাতের লাউয়ের চাহিদা একটু কম। গোলাকার দেশীয় জাতের লাউয়ের চাহিদা অনেক ভাল। দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকার ব্যবসায়ীরা আমাদের জমিতে থেকে লাউ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আশা করি লাভবান হবো। 

সবজি ব্যবসায়ী রাজন জানান, প্রতিদিনই কৃষকরা লাউ বিক্রি করছেন আমাদের আড়তে। আমরা পাইকারি কিনে ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, চট্রগ্রামসহ দেশের বড়বড় শহরে বিক্রি করি। আমাদের জেলার উৎপাদিত লাউ দেখতে অনেক সুন্দর মশৃণ ও সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা ভাল। একদিকে কৃষকরা যেমন উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন তেমনি বিক্রি করে আমরাও লাভবান হচ্ছি। 

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, অন্যান্য পুষ্টিকর সবজি তরকারির মধ্যে অন্যতম লাউ। লাউ শুধু তরকারি হিসেবে নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শসার বিকল্প হিসেবে লাউয়ের সালাত ব্যবহার হয়ে থাকে। লাউয়ের বেশ কয়েকটি জাত রয়েছে তারমধ্যে মার্টিনা, শীতালাউ ও মার্শাল সুপার জাতের লাউ আবাদ চাষ হয়ে থাকে। আগে মানুষ মাটিতে লাউয়ের আবাদ করতো। তাতে ফলন ও রোগবালাই বেশি হতো। আমরা কৃষকদের মাঠ দিবসের মাধ্যমে মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষের পরামর্শ দিলে কৃষকরা কয়েকবছর মাচা পদ্ধতিতে লাউয়ের আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন। জেলায় এবছর ২৩০ হেক্টর জমিতে লাউয়ের আবাদ হয়েছে। এসকল জমিতে প্রায় ৬০০০ টন লাউ উৎপাদন হবে। যা জেলার চাহিদা পুরুন করেও এক তৃতীয়াংশ লাউ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft