প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ৭:০১ অপরাহ্ন
দখলদার ইসরাইল গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে পরাজিত করতে পারলে এরপর তুরস্কের দিকে ‘নজর দেবে’ এবং হামলা চালাবে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
গতকাল বুধবার রাজধানী আঙ্কারায় একটি সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। খবর ইরানভিত্তিক পার্সটুডে ও দ্য টাইমস অব ইসরাইলের।
নিজ দলের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে এরদোয়ান বলেন, ভাববেন না যে ইসরাইল গাজায় থেমে থাকবে। তাদের থামিয়ে না দেয়া হলে এই সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্ত সরকার আজ হোক অথবা কাল আনাতোলিয়ার দিকে নজর দেবে।
আনাতোলিয়া বোঝাতে এরদোগান বৃহত্তর তুর্কি উপত্যকাকে বোঝাতে চেয়েছেন। আনাতোলিয়া পশ্চিম এশিয়ার একটি উপদ্বীপ । আনাতোলিয়া শব্দটি বাংলাভাষাও ব্যবহৃত হয়। তবে তুর্কিরা একে আনাদোল বা আনাদোলো বলে। তুরস্কের বেশিরভাগ অংশ এই উপদ্বীপেই গঠিত। আনাতোলিয়াকে ইংরেজিতে এশিয়া মাইনর নামেও ডাকা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা হামাসের পাশে দাঁড়াবো। তারা তাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে এবং একইসাথে আনাতোলিয়াকেও রক্ষা করছে।
এর আগে সোমবার এ তুর্কি নেতা বলেছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে হামাসের এক হাজারেরও বেশি সদস্যকে তুরস্কের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও তিনি ইস্তাম্বুলে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহের সাথে দেখা করেছেন এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।
গাজা গণহত্যা শুরুর পর থেকে আঙ্কারার সঙ্গে তেল আবিবের সম্পর্কের অবনতি হয়। ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখলেও দখলদারদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে তুরস্ক। সবশেষ ইসরাইলের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করে এরদোয়ান সরকার।