প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৯:৫০ অপরাহ্ন
কারা জান্নাতে যাবেন আর কাদের ঠিকানা জাহান্নামে হবে—এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে অনেক আয়াত রয়েছে। সবগুলো আয়াতের মূলকথা হলো- শিরকমুক্ত ঈমানসহ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ-নিষেধ মান্যকারীরা জান্নাতে যাবেন। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অস্বীকারকারী, অবাধ্য, মুশরিক, মুনাফিক ও অহংকারীরা জাহান্নামের অধিবাসী হবে।
কিন্তু এরপরও কারো ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে সে জাহান্নামি হবে। কেননা, জীবনের শেষদিকে এসেও যে কেউ তাওবা-ইস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করতে পারে এবং জান্নাতি লোকদের তালিকাভুক্ত হতে পারে।
বতাই এ ব্যাপারে প্রিয়নবী (স.)-এর একটি হাদিসের খুব গুরুত্ব রয়েছে। যেখানে নবীজি (স.) জান্নাতি ও জাহান্নামি লোকের আচরণগত ধরণ কেমন হবে সে সম্পর্কে কিছু নমুনা জানিয়ে দিয়েছেন। হাদিসটি হলো- হারিসা ইবনে ওয়াহাব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (স.)-কে বলতে শুনেছি—‘আমি কি তোমাদেরকে জান্নাতি লোকদের সম্পর্কে অবহিত করব না? তারা হবে দুনিয়াতে দুর্বল, মাজলুম। তারা যদি কোনো কথায় আল্লাহর ওপর কসম করে ফেলে, তবে আল্লাহ তাআলা তা পূর্ণ করে দেন। আর যারা জাহান্নামে যাবে তারা হবে অবাধ্য, ঝগড়াটে ও অহংকারী।’ (সহিহ বুখারি: ৬২০২)
এ হাদিসে নবীজি (স.) জান্নাতি ও জাহান্নামি লোকের নমুনা তুলে ধরেছেন। যারা জান্নাতি তাদের আচরণ হবে কোমল, নরম, ক্ষমতার অধিকারী হলেও তাদের দেখতে দুর্বল মনে হবে। কথা, কাজ, চলনে তারা দুর্বলের মতো হবে। কারো প্রতি অত্যাচার করবে না। জুলুম করবে না।
পক্ষান্তরে যারা জাহান্নামি হবে তাদের নমুনা তুলে ধরে প্রিয়নবী (স.) বলেন, তারা হবে ঝগড়াটে। যে কারো সঙ্গে ঝগড়া লেগে যাবে। তারা কারো কথা শুনবে না বরং সবক্ষেত্রে তারা হবে অবাধ্য। আর সব কাজেই তারা হবে অহংকারী। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে এসব বদগুণের অধিকারীরা হবে জাহান্নামি। এ হাদিসে তাই উল্লেখ করা হয়েছে।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত- ঝগড়াটে, অবাধ্যতা ও অহংকারী স্বভাব থেকে বিরত থাকা। যারা দুর্বল তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা। নিজেকে দুর্বল ভেবে দুনিয়াতে চলাফেরা করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।