প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৪, ৭:৫৪ অপরাহ্ন
মেহমানদারি একটি মহৎ গুণ, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে মজবুত করে, বন্ধুত্বকে সুদৃঢ় এবং সামাজিক সৌহার্দ সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখে। মেহমানদারি নবী-রাসুলদের আদর্শ। কেউ কারো মেহমান হলে মেজবানের দায়িত্ব মেহমানকে আপ্যায়ন করা। খাওয়া-দাওয়ার পর মেহমানেরও একটি দোয়া পড়া সুন্নত।
দোয়াটি হলো—اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيْ مَا رَزَقْتَهُمْ، وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফি-মা রজাকতাহুম, ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তাদের যে রিজিক দিয়েছেন, তাতে বরকত দান করুন, তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি দয়া করুন।’ রাসুলুল্লাহ (স.) একবার আব্দুল্লাহ ইবনে বুস্র (রা.)-এর বাবার আতিথ্য গ্রহণের পর তার জন্য দোয়াটি করেছিলেন। (তিরমিজি: ৩৫৭৬; সহিহ মুসলিম: ২০৪২)
আরেক হাদিসে মেহমানের এই দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে— أَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَأَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ উচ্চারণ: ‘আকালা ত্বআমাকুমুল আবরার, ওয়াছল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকাহ, ওআফতার ইন্দাকুমুছ ছ’য়িমুন। অর্থ: তোমাদের খাবার যেন আল্লাহ নেককার লোকদের খাওয়ায় এবং ফেরেশতারা যেন তোমাদের জন্য দোয়া করে এবং রোজাদাররা যেন তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে।’ (মুসনাদে আহমদ: ১২৪০৬)
এভাবেও দোয়া করা যায়— اَللّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أطْعَمَنِيْ، وَاسْقِ مَنْ سَقَانِيْ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা আত্বইম মান আত্বআমানী ওয়াআসকি মান সাকানী।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করাল আপনি তাকে আহার দান করুন এবং যে আমাকে পান করাল তাকে আপনি পান করান।’ (সহিহ মুসলিম: ২/২৮৪, হাদিস: ২০৫৫)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকল মেহমান ও মেজবানকে যথাযথ সুন্নাহ পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।