প্রকাশ: সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪:৫৯ অপরাহ্ন
চলতি বছরের প্রথম দুই মাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ থেকে ১১৮ কোটি ৬২ লাখ ডলারেরও বেশি পোশাক আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ২০২৩ সালের প্রথম দুই মাসের তুলনায় ১৯.২৪ শতাংশ কম। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের অধীন অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলসের (ওটেক্সা) পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দেশভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আলোচ্য দুই মাসে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়েছে। এ দুই মাসে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির অর্থমূল্যে বেড়েছে দশমিক ৪৮ শতাংশ আর পরিমাণে বেড়েছে ১৪.৯৪ শতাংশ।
একই সময়ে ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির অর্থমূল্য বেড়েছে দশমিক ১৪ শতাংশ আর পরিমাণে বেড়েছে ৪.৮১ শতাংশ। একক বাজার হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।
পোশাক রপ্তানিকারকেরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। এই বাড়তি চাহিদা ধরেছেন চীন ও ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা। তুলনামূলক পিছিয়েছে বাংলাদেশ।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির অর্থমূল্য ছিল ১৪৭ কোটি ডলার। ২০২৪ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আমদানি হয়েছে ১১৮ কোটি ৬২ লাখ ডলারের কিছু বেশি। বিশ্ববাজার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ২০২৩ সালের প্রথম দুই মাসের তুলনায় ২০২৪ সালের প্রথম দুই মাসে কমেছে ৭.৭৭ শতাংশ।
ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির তৃতীয় সর্বোচ্চ উৎস ছিল বাংলাদেশ। মোট আমদানিতে বাংলাদেশের হিস্যা দাঁড়িয়েছে ৯.১২ শতাংশ। চীন ও ভিয়েতনামের অবদান ছিল যথাক্রমে ২১.২৬ ও ১৮.৪৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে উদ্যোক্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধির সুবিধা নিতে পারছে না বাংলাদেশ। বিষয়টিকে নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
ওটেক্সার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কম্বোডিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির অর্থমূল্য ছিল ৫৪ কোটি ৫২ লাখ ডলার, ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় যা ১৫.৩৪ শতাংশ বেশি।
এছাড়া ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ১৩.৭৫ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ১৭.২৫ শতাংশ।