প্রকাশ: শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪, ৩:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪, ৩:৫২ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিগতভাবে দুর্বল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকেরও নীতিগত দুর্বলতা আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক স্ট্রংলি বলতে পারে যে, আমরা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ব্যাংক অনুমোদন দেব না। কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে উপরের নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকলে হবে না। অর্থনীতির স্বার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হয়। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আইন থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয় না।
শনিবার (৩০ মার্চ) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির অয়োজিত ‘ব্যাংকিং খাতে সুশাসন জোরদারে ব্যাংক একীভূতকরণ’ বিষয়ক এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে এত ব্যাংক দিলেন কেন এমন প্রশ্ন রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাড়তে বাড়তে এখন বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে যেসব ব্যাংক দেওয়া হয়েছিল তার কোনোটাই ভালো করছে না। এসব ব্যাংকের উদ্দেশ্যই ছিল ব্যাংক থেকে টাকা চুরি করা। পদ্মা ব্যাংকের মতো এগুলোকে নাম বদলে ভালো করার চেষ্টা না করে লিকুইডেট করে দেওয়াটা সবচেয়ে ভালো।
সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেক আগেই বলেছিলাম এত ব্যাংকের অনুমোদন দিলে মার্জারের সিদ্ধান্তে যেতে হবে। দেরিতে হলেও মার্জার অ্যাকুইজেশনের সিদ্ধান্তটা ভালো। তবে মার্জারের মাধ্যমে ব্যাংক লুটেরা বা দুর্নীতিবাজরা যাতে পার না পেয়ে যায় সে বিষয়ে খুব গুরুত্বসহকারে নজর রাখতে হবে।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, প্রলেপ দিয়ে ব্যাংক খাতের চিকিৎসা করা যাবে না। অর্থনীতির স্বার্থে এটাকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। আমাদের দেশে মার্জারের ভালো উদাহরণও রয়েছে। যেমন ইস্টার্ন ব্যাংক এখন একটি সবল ব্যাংক। তবে খেয়াল রাখতে হবে ভালো ব্যাংক যেন দুর্বলের প্রভাবে নড়বড়ে হয়ে না যায়। পাশাপাশি দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাতকারী গ্রাহকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।