প্রকাশ: রোববার, ২৪ মার্চ, ২০২৪, ১২:১৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এই ঋণের মধ্যে ৭৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার নিয়েছে সরকারি খাত। বাকি অংশ নিয়েছে বেসরকারি খাত। এর মধ্যে আবার ৮৫ শতাংশ ঋণ দীর্ঘমেয়াদী। বাকিগুলো স্বল্পমেয়াদী।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল শেষে সামগ্রিক বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ৯৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
এই ঋণের মধ্যে ৭৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার নিয়েছে সরকারি খাত এবং বাকি অংশ নিয়েছে বেসরকারি খাত। এর মধ্যে আবার ৮৫ শতাংশ ঋণ দীর্ঘমেয়াদী এবং বাকিগুলো স্বল্পমেয়াদী।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি রয়েছে। এরই মধ্যে বিদেশি ঋণের এই বৃদ্ধি ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগজনক।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৫৬২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এদিকে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ প্রায় ১৪ শতাংশ কমে ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আগে বিদেশি ঋণের সুদহার ১ থেকে ২ শতাংশ থাকলেও এখন তা বেড়ে ৮ থেকে ৯ শতাংশ হয়েছে। এটিই বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ কমার প্রবণতার মূল কারণ।