প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ২:৫৮ অপরাহ্ন
‘মানুষ মানুষের জন্য/ জীবন জীবনের জন্য/ একটু সহানুভূতি কি/ মানুষ পেতে পারে না…ও বন্ধু’ ভুপেন হাজারিকার এই জীবনমুখী গানের পঙ্ক্তি আজও আমাদের মনে দোলা দেয়। আমরা সবাই মানুষ। পার্থক্য শুধু একটাই, কেউ বিত্তশালী আর কেউ দরিদ্র। কিন্তু আমরা সবাই সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করি। এই সমাজবদ্ধ অবস্থায় যারা মানুষের দুঃসময়ে, বিপদে-আপদে, মহামারিতে এগিয়ে আসে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তারাই প্রকৃত মানুষ।
এমনই একটি প্রকৃত মানুষদের সংগঠন আনন্দ জনকল্যাণ সংস্থা। যারা ইদ সামগ্রী বিতরণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, অসহায় ও অসুস্থ মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান এবং শিক্ষা সামগ্রী বিতরণসহ এলাকায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার আনন্দীপুর ও আন্দিরপাড় গ্রামে অসহায়দের মুখে হাসি ফুটাচ্ছে এই সংগঠনটি। সংগঠনটিতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছে এলাকার এক ঝাঁক তরুণ।
ওই এলাকায় গরিব ও অসহায় মানুষদের সাহায্য করার জন্য সক্রিয় কোনো সংগঠন না থাকায় একদিন চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেয় কয়েকজন বন্ধু। ‘জনকল্যাণেই আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ’ এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। তাদের প্রথমে পরিকল্পনা ছিল গ্রামের মানুষদের স্বেচ্ছায় রক্তদান করে সহায়তা করা। এরপর তারা ইফতার সামগ্রী বিতরণ, ঈদসামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ শুরু করে।
গত ১২ এপ্রিল স্থানীয় বিত্তশালী ও প্রবাসীদের আর্থিক সহায়তায় এক শতাধিক গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য প্রতিবারের ন্যায় এবারও আনন্দ জনকল্যাণ সংস্থা ইদ সামগ্রী বিতরণ করেছে।
ইফতার সামগ্রী হিসেবে প্রতিটি ব্যাগে ছিল দুই প্যাকেট সেমাই, দুই প্যাকেট নুডলস, দুই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি মশুর ডাল, এক কেজি চিনি, আধা লিটার সয়াবিন তেল ও একটা কনডেন্সড মিল্ক।
সংগঠনটির সভাপতি মনির হোসেন বলেন, দেশ ও দেশের বাহিরের মানুষের সহযোগিতা আছে বলেই আনন্দ জনকল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রতি রমজানে ইদ সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি পালন করতে পারছে। বছরের অন্যান্য মাসের তুলনায় এ সময়টাতে সংগঠনের কার্যক্রম বেড়ে যায়। এলাকার দুস্থ মানুষের ঈদের আনন্দে ঘাটতি যাতে না হয় সেজন্য সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার প্রয়াসে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলস কাজ করে যায়।