প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪, ৫:৪৯ অপরাহ্ন
অধিকাংশ মানুষেরই ক্ষমতার প্রতি মোহ রয়েছে। একবার পেলে সহজে ছাড়তে চান না। ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় নায়ক ও শিল্পী সমিতির বিদায়ী কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের ক্ষেত্রে। সংগঠনটির আসন্ন ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সভাপতি হওয়ার আর ইচ্ছা নেই তার। এবার কাঞ্চন জানালেন গেলবারও নিজের ইচ্ছায় নির্বাচনে আসেননি তিনি।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নিপুন শুধু আমাকে না, আমার ছেলেকেও ম্যানেজ করেছে। তবু আমি দাঁড়াতাম না। আমাদের দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদ অনুরোধ করেছিলেন। কারণ, তার প্রতি আমার একটা ভালোবাসা-শ্রদ্ধা রয়েছে, যার কারণে আমার এ জায়গায় আসতে হয়েছে।
এর আগে ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছিলেন তিনি দুঃখ নিয়ে সংগঠন থেকে বিদায় নিচ্ছেন। তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনের পর থেকেই সমিতির একটা পদ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা কত কিছু করেছেন। কিন্তু শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের স্বার্থ তো আলাদা জিনিস। এ বিষয়টাই কেউ বুঝতে চাইল না। আপনারা শিল্পীদের স্বার্থ কী করে ভুলে যান? যেখানে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি, সেখানে কাঞ্চনের পাশে আপনারা দাঁড়ান না। এই দুঃখটা নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছি। আজকে আমাকে যদি অসম্মান করেন, তাহলে সেই অসম্মান কিন্তু আমার একার নয়। সেই অসম্মান পুরো শিল্পী সমাজের, চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির।
আরও বলেছিলেন, আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। তবে নির্বাচন না করলেও সব সময় সমিতি ও শিল্পীদের পাশে থাকব। এই শিল্পী সমিতি আমাদের সমিতি। আজকে আমি যা কিছু তার সব কিছু একজন শিল্পী হিসেবেই অর্জন করেছি। এই ইন্ডাস্ট্রি থেকেই অর্জন করেছি। সুখে-দুঃখে যখন প্রয়োজন হবে তখন আমাকে পাবেন।
আগামী ১৯ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর থাকবেন এক প্যানেলে। অন্যদিকে ইলিয়াস কাঞ্চনের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার নিজের প্যানেলের জন্য সভাপতি পদপ্রার্থী খুঁজে বেড়াচ্ছেন।