প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪, ৪:৩২ অপরাহ্ন
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে গরু চুরির সাথে জড়িত থাকার অপরাধে চোর চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ। তারা হলেন উপজেলার সরসপুর ইউপির ভাউপুর গ্রামের আব্দুল খালেক ও মুক্তার হোসেন।
এ সময় চুরিকৃত ২টি গরু ও এ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপভ্যান (ঢাকা মেট্রো- ন-২০.২১১১) উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ১৪ মার্চ মঙ্গলবার সকালে মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ মার্চ মধ্যরাতে উপজেলার সরসপুর ইউপির সরসপুর গ্রামস্থ পূর্বপাড়ার আব্দুল মতিন এর গোয়ালঘর থেকে ১টি ধূসর রং এর গাভী ও ১টি লাল রং এর বকনা বাচুর অজ্ঞাতনামা চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। গরুর মালিক আব্দুল মতিন অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে গত ১৩ মার্চ মঙ্গলবার মনোহরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলা রুজু হওয়ার পর সহকারি পুলিশ সুপার লাকসাম সার্কেল ও মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিকু শীলসহ সঙ্গীয় ফোর্স তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঐ দিন রাতেই চোরাই গরু বহনকারী পিকআপ ভ্যানসহ চালক মুক্তার হোসেন (৫২) কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চালক এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে তার দেয়া তথ্য মতে পুলিশ চোরাই চক্রের মুল হোতা পিকআপভ্যান এর মালিক ভাউপুর মির্জা বাড়ির নাসির উদ্দিন ও একই বাড়ির আব্দুল খালেক এর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আব্দুল খালেক-কে গ্রেফতার করে । পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নাসির উদ্দিন পালিয়ে যায়। পরে চোর চক্রের সদস্য আব্দুল খালেক ও পিকআপভ্যান চালক মুক্তার হোসেনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের তথ্যানুযায়ী চোর চক্রের অপর সদস্য বাইশগাঁও ইউপির চড্ডা গ্রামের হুমায়ন কবির এর বাড়িতে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেও কৌশলে পালিয়ে যায়।
এ সময় পুলিশ তার বসত বাড়ির সম্মুখে একটি দোকান ঘরের ভিতর থেকে অভিযোগকৃত ধূসর রং এর গাভী ও লাল রং এর বকনা বাচুরটি উদ্ধার করে থানায় নিযে যায়।
এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হানিফ সরকার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গরু চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের ২ সদস্য কে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় তিনি চুরিকৃত ২টি গরু ও ১টি পিকআপভ্যান জব্দ করার কথা জানান। এ ঘটনায় মনোহরগঞ্জ থানায় চুরি আইনে একটি মামলা হওয়ার কথা জানান তিনি।
তিনি জানান, চুরি, ডাকাতি প্রতিরোধে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, গরুর খামারে এ্যালার্ম ডিভাইস স্থাপন করার মাধ্যমে এলাকার মানুষকে সচেতনতামূলক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিভিন্ন রাস্তায় ব্যরিয়ার স্থাপন ও রাতে পাহারার ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগের কথা জানান তিনি।