বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

আইনজীবী হত্যায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুজনসহ অংশ নেয় ১৫ জন    জিয়াকে নিয়ে মন্তব্যের জের বিচারপতিকে ডিম ছুড়ে মারলেন আইনজীবীরা    ভারতের উচিত তার দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: তথ্য উপদেষ্টা    আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচার দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের : সম্প্রীতির ডাক    কোটালিপাড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩ শত থেকে ৫ হাজার টাকা উত্তোলনের অভিযোগ    ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু : হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮   
ঘোড়ার গাড়িই যেখানে চলাচলের একমাত্র বাহন
ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪, ৩:৫৩ অপরাহ্ন

সভ্যতার যুগ ও কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার মানুষের একমাত্র যোগাযোগের বাহন গরুর গাড়ির ব্যবহার হারিয়ে গেছে। কিন্তু চরাঞ্চলে মালামাল ও মানুষের যোগাযোগের বাহন হিসেবে দাঁড়িয়েছে ঘোড়ার গাড়ি। বর্ষার সময় যোগাযোগের মাধ্যম নৌকা আর কালের পরিক্রমায় শুকনো মৌসুমে চরাঞ্চলের মালামাল বহনের একমাত্র বাহন হলো ঘোড়ার গাড়ি। 

এ কারণে চরবাসী নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল ঘোড়ার গাড়িযোগে বহন করে থাকেন। আবার অনেকে পায়ে হেঁটে নিত্য দিনের প্রয়োজন মেটান। সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে চর জাগতে শুরু করে। চর জাগলেই শুকনো মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ি যোগাযোগের অন্যতম বাহন হয়ে দাঁড়ায়। 

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার যমুনা দ্বীপচর গুলোতে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘোড়ার গাড়ি। 

যমুনার চরাঞ্চলে উঁচু-নিচু ও বালুমিশ্রিত পথে অন্য কোনো যানবাহন না চলায় একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি। ইসলাামপুর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের মন্নিয়া, বরুল, সিন্দুরতলী, সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি চর, শিশুয়া, চেঙ্গানিয়া, কাশাড়িডোবা, বিশরশি, মণ্ডল পাড়া বাজার, আকন্দ পাড়া গ্রামের প্রধান বাহন হিসেবে দিব্যি চলছে ঘোড়ার গাড়ি। 

নদীর পানি নেমে যাওয়ায় যমুনার চরাঞ্চলে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার বেড়ে যায়। শুকনো মৌসুমে চরবাসীর কষ্টের স্বপ্নের ফসল বাদাম, ভুট্ট, গম, বোরো ধানসহ নানা ফসল চরাঞ্চলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিতে খুবই কষ্ট হয়ে থাকে। তাই এ কষ্ট লাঘবে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করছে চর অঞ্চলের কৃষকেরাও। 

মন্নিয়া চরের ঘোড়ার গাড়ি চালক আব্দুল মালেক বলেন, বর্ষাকালে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ি চালাই। দৈনিক ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হলেও ঘোড়ার খাবারের জন্য ব্যয় করতে হয় ৩০০ টাকা। বাকি টাকায় চলে সংসার। 

একই গ্রামের মোঃ আবু সাইদ বলেন, কয়েক বছর আগেও এই চরে কম সংখ্যক ঘোড়ার গাড়ি ছিল। কিন্তু এই অঞ্চলে এখন অনেক ঘোড়ার গাড়ি হয়েছে। তা ছাড়া সহজলভ্য হওয়া মানুষের দিন দিন ঘোড়ার গাড়ির চাহিদাও বাড়ছে। 

মন্নিয়া চরের আব্দুল আজিজ বলেন, শুকনো মৌসুমে যমুনার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় জেগে উঠে অসংখ্য ছোট-বড় চর। এখানে বাহন হিসেবে ঘোড়ার গাড়িই মানুষের একমাত্র ভরসা। এ ছাড়া চরের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল জমি থেকে তুলে বাড়ি ও পরবর্তীতে হাটে বিক্রি করার জন্য নদীর ঘাটে আনার মাধ্যম এ ঘোড়ার গাড়ি। 

বরুল গ্রামের ইউপি সদস্য আবু বক্কর মণ্ডল বলেন, চরাঞ্চলে উঁচু-নিচু ও বালুমিশ্রিত পথে ঘোড়ার গাড়ি চলে। তবে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের পড়তে হয় বিপাকে। অসুস্থ রোগীকে ঘোড়ার গাড়িতে হাসপাতালে নিতে চাইলে উঁচু-নিচু রাস্তার ঝাঁকুনিতে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্নিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, গুঠাইল ঘাট নৌকা থেকে নেমে ঘোড়া গাড়ী ছাড়া যাতায়াতের আর কোন মাধ্যম নেই। ঘোড়া গাড়ি না পেলে প্রতিদিন পায়ে হেটে প্রায় ৪০-৫০ মিনিট বিদ্যালয়ে আসতে হয়। দূর্ঘম চরাঞ্চল হওয়ায় এখানে চলাচল করা খুবই কষ্টদায়ক।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft