প্রকাশ: বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন
আজ বুধাবার সাংবাদিক সম্মেলেন স্ত্রীর অধিকার চাই না, সন্তানের প্রাপ্য অধিকার চাই এমন দাবি করেছেন আফিয়া আক্তার সুইটি।
এসময় তিনি বলেন, দেশের বিবেকবান মানুষ' একটু ভাবুনতো' মানুষ কখন কতটা নিরুপায় ও অসহায় হলে' সন্তানে বাবার দাবী ও ভরণ পোষনের অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হয়ে স্বামী বা আমার সন্তানের বাবার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধ্য হলাম।
তিনি আরো বলেন, আমার প্রিয় মানুষ আমার স্বামী ও দুই সন্তানের (তানিমা ইসলাম ও তনিমা ইসলাম) জন্মদাতা পিতা খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মুশুদ্দি ইউনিয়নের বারবার নির্বচিত সাবেক চেয়ারম্যান। টাঙ্গাইল ধনবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ১১ই আগষ্ট ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক খন্দকার মনজুরুল ইসলাম তপনের সাথে ১০লক্ষ টাকা দেন মোহরে ইসলামী শরিয়া মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। সুখের জীবন যাপনই ছিলো আমাদের বছর তিনেক। বিবেদ শুরু হয় আমি যখন গর্ভ ধারন করে মা হতে যাচ্ছিলাম তখন থেকেই' যখন আমার দুটি' ফুট ফুটে জমজ কন্যা সন্তানে জন্ম হয় ২৪ শে আগষ্ট ২০১৭ সালে।
কেন বিবেদ সৃষ্টি হয়, খন্দকার মনজুরুল ইসলাম তপন সাহেব তার নিজ সন্তানের নামে জমি ক্রয় করে দিবে বলে আমার বাবা অর্থাৎ তার শশুর জনাব আব্দুর রশিদ সাহেবের কাছ থেকে নগদ ৪০,০০,০০০/- (চল্লিশ লক্ষ) টাকা প্রদান করি। যার প্রমাণ স্বরুপ আমার স্বামী তপন ‘মিউচুয়াল ট্রাষ্ট’ ব্যাংকের নিজ স্বাক্ষরিত একটি চেক আমাকে প্রদান করেন। যার চেক নং- ঈউঅ২২৯১১৯৫, তারিখ ০৬/০৯/২০২১ ইং।
বনশ্রী বাড়ী নং- ৫১, রোড নং-৪, বক্ল-জি, আমার পিত্রালয়ে থাকা অবস্থায় মদ্যপান ও নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বাসায় আসত। একাধিক বার আমার বাড়ীর গেট ভাংচুর করে। যা আমি স্ত্রী হিসেবে ভালো ভাবে নেই। এটিও বিবাদের কারণ এবং শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এবং তার একাধিক স্ত্রী বিদ্যমান জানতে পারি, শুধু কি তাই সে একাধাকি নাইট ক্লাবে নারী দের কে নিয়ে যাতায়াত করেন এবং বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করি। যা আমি স্ত্রী হিসেবে আমি বিব্রত ও লজ্জিত বোধ করি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনারা জাতির বিবেক আপনাদের বিবেকে প্রশ্ন করে দেখুন এই অবুজ সন্তান দুটির (তনিমা ইসলাম আলিনা এবং তানিমা ইসলমা আশরীন) কি অপরাধ? তারা যখন কথা বলতে শিখে সেই থেকেই' বাবার আদর থেকে বঞ্চিত' বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারে নাই' এই কন্যা দুটি সন্তান। অত্যান্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, হে জনাব খন্দকার মনজুরুল ইসলাম তপন সাহেব, আপনার বিবেক মায়া মমতা বলতে কিছু নাই' এই সন্তান দুটি কত কষ্টে জীবন যাপন করে একটু খোজ নিয়েও দেখেন না কেন?
বছরের পর বছর মানুষ এত পাষাণ হতে পারে নিজের ঔরষ জাত সন্তানদের ভুলে থাকতে পারেন। নিজে থাকে অট্টালিকায়, বিলাশবহুল দামি গাড়ী বাড়িতে এবং কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহার গড়ছেন। আর আপনার সন্তান পা হেটে বা রিক্সায় স্কুলে যাতয়াতের সামর্থ টুকু নেই!
আমার সন্তানের বাবা খন্দকার মনজুরুল ইসলাম তপন আপনি যখন সমাজ সেবার কথা বলেন তখন লজ্জা করে না। আপনী সমাজের একজন প্রভাব শালী ব্যক্তি আপনার বিচার কে করবে? আপনী ধনবাড়ি আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মেয়র ও কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের (মামাতো ভাই) একান্ত কাছের লোক ও আত্নীয়ের পরিচয়ে ক্ষমতার বাহু বলে নিজের ঔরসজাত সন্তানের সাথেও ক্ষমতার অপব্যাবহার করছেন' নিলজ্জর মত' দাপট ও ক্ষমতার অহংকার দেখাচ্ছেন।
তাই আমি এখন খোদার পরে শেষ বিচার চাইবো গনমাধ্যমের মধ্যমে। আওয়ামীলীগের সভা নেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা ও বাংলাদেশের বিবেকবান মানুষের কাছে এবং আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের ভাইর কাছে তার দলের এই নেতার বিচার দিলাম যেন তার স্ত্রীর দুই কন্যা সন্তানের ন্যায্য দাবীর বিচার পাইএবং আমি আমার সন্তানদের অধিকার মর্যাদা সহ নিরাপত্তার জন্য মাননীয় স্বারাষ্ট ও আইন মন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করছি।