প্রকাশ: বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন
রাজধানীতে অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের অভিযানে মোহাম্মদপুর এলাকায় দুটি ও উত্তরায় একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেবার মানে অসন্তুষ্ট হওয়ায় চারটি প্রতিষ্ঠানকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। দুই দিনের অভিযানে এ নিয়ে মোট নয়টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হলো।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের চার সদস্যের দুটি দল উত্তরা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় ইকবাল রোডের কেয়ার হসপিটাল ও শ্যামলীর ঢাকা ট্রমা সেন্টার হসপিটাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া উত্তরায় অনুমোদন না থাকায় হাইকেয়ার কার্ডিয়াক ও নিউরো হাসপাতালকে বন্ধের চিঠি দেয়া হয়েছে।
অভিযানে শ্যামলীর ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শ্যামলীর হাইকেয়ার অর্থোপেডিক্স ও জেনারেল হাসপাতালকে শোকজ করতে হবে। শ্যামলীর এসবিএফ কিডনি কেয়ার সেন্টারে ফুল টাইম নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব নির্দেশনা অবিশ্যকভাবে পালন করার কথা জানায় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি।
বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো এসব নির্দেশনা মানছে কি না তা খতিয়ে দেখতে গতকাল থেকে অভিযান শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অভিযানের প্রথম দিনে লাইসেন্স না থাকা, নবায়ন না করাসহ বিভিন্ন কারণে মোট ৬টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া অনিয়মের অভিযোগে আংশিক সেবা বন্ধ করা হয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠানের। আজ দ্বিতীয় দিন তিনটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হলো।