প্রকাশ: বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
বিচ্ছেদ ইস্যুতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ঢালিউড অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। এবার তার নাম উঠে এলো মামনুন ইমন ও ডি এ তায়েবের দ্বন্দ্বের মাঝে। মাহির সর্বনাশ করেছেন ইমন। এমন মন্তব্য করেছেন তায়েব।
কিছুদিন আগে ‘কাগজের বউ’ নামের একটি সিনেমা মুক্তি পায়। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমন। তবে সিনেমাটির প্রচারণায় দেখা যায়নি ইমনকে। সেসময় গণমাধ্যমে এর কারণ ব্যখ্যা করে সাক্ষাৎকার দেন ইমন। তবে সে ব্যাখ্যা পছন্দ হয়নি তায়েবের। সম্প্রতি এ সম্পর্কিত এক ফোনালাপের রেকর্ড ফাঁস হয়েছে তায়েব ও ইমনের। সেখানে মাহির প্রসঙ্গটিও টেনেছেন তায়েব।
ফাঁস হওয়া সেই অডিওতে ডি এ তায়েবকে বলতে শোনা যায়, ‘ইমন তোমার একটি ইন্টারভিউ দেখলাম, তুমি কিন্তু খুব অন্যায় করেছো। আমি কিন্তু কখনোই তোমাকে কাস্টিং করি নাই, আর আমি এই সিনেমার প্রযোজকও না। তোমার কাছে চুক্তিপত্র থাকলে তা দেখাও নইলে বিপদে পড়বা।’
এরপর চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির একটা ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘ তোমার জন্য মাহিও সিনেমাটি করেনি। তুমি একবার একটা কাজ করে মাহির সর্বনাশ করেছো। তোমার কাজের জন্য একজন মন্ত্রীর মন্ত্রীত্ব চলে গেছে। আমি ধরলে কিন্তু পচে যাবা, তোমার পেছনে যে কেউই থাকুক না কেন!’
এরপর ডি এ তায়েব বলেন, ‘আমি তোমার মতো মানুষকে কখনও কোনো সিনেমায় নেব না। আইন প্রমাণ চায় সব সময়। তুমি টিভি চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিয়ে বড় কিছু হয়ে যাও নাই। প্রমাণ থাকলে দেখাও, নাইলে তুমি কিন্তু বিপদে পড়ে যাবা। জ্ঞানে আসো, হুঁশে আসো।’
এদিকে রেকর্ডটি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ডি এ তায়েব। সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ অডিওটি আমার ইমনের কথোপকথনের অংশ। যেটা কোনোভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।’
সবশেষ ইমনকে উদ্দেশ্য করে এই অভিনেতা বলেন, ‘অডিও বিক্রি করবা না ইমন। ভবিষ্যতে এমন করবা না কখনও। আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছো, সেই অডিও আছে। আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু এসব করো না।’
গণমাধ্যমে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ইমন বলেছিলেন, “সিনেমাটি ‘কাগজের বউ’ কীভাবে চলচ্চিত্র হিসেবে মুক্তি পেয়েছে, এটাই বুঝিনি। শুটিং শুরুর আগে পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী একদিন আমাকে ফোন করে বললেন, ইমন আমি একটা ওয়েব ফিল্ম বানাব, গল্পটা হচ্ছে এ রকম। বললাম, অন্য আর্টিস্ট কে কে থাকবেন? তখন তিনি বললেন, পরীমণি। ডি এ তায়েবের কথাও বলেছিলেন। তারপর গল্পটা শুনে রাজি হয়েছি। শুটিং করলাম।”
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘কী কারণে যেন আমার কিছু অংশের তো শুটিংই হয়নি। একটা সময় শুনি, এটার প্রযোজক ডি এ তায়েব ভাই। পরে অবশ্য এত কিছু আর ভাবিনি। যেহেতু পরীমণির সঙ্গে কাজই হয়নি, গল্পটাও ভালো। ভাবলাম, ওয়েব ফিল্ম হিসেবে একটা কাজ হোক। পরিচালক থেকে শুরু করে আমরা শিল্পীরা সবাই জানি, এটা ওয়েব ফিল্ম। কিন্তু পরে শুনি, ফুটেজ দেখার পর প্রযোজকের মনে হয়েছে, এটা ফিল্ম হয়ে যেতে পারে।’