প্রকাশ: বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন
পুলিশ সদস্যদের জনগণের বন্ধু হিসেবে সব সময় তাদের পাশে থাকার এবং নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষের একমাত্র নির্ভরতার জায়গা পুলিশ। জনগণকে তাদের নিঃস্বার্থ সেবা দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পুলিশ জনগণের বন্ধু হিসেবে সব সময় তাদের পাশে থাকবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ‘বঙ্গভবনে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
চলমান পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘মানুষ বিশ্বাস করে পুলিশই তাদের সাহায্য করবে। জনগণকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে জনআস্থা অর্জনে আপনাদেরকে আরো নিবেদিত হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সাধারণ মানুষ এখনো থানায় যেতে ভয় পায়, একেবারে বাধ্য না হলে কেউ থানায় যেতে চায় না। মানুষের মন থেকে অহেতুক ভীতি ও ঝামেলার শঙ্কা দূর করতে হবে।’
আইনি সহায়তা পেতে থানায় আসা মানুষকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সেবা দিতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আরো নিবেদিত হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি রাস্তায় রাস্তায় রুটিন চেকিংয়ের নামে কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখার তাগিদ দেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ ছাড়া খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহনকেও চাঁদা দেওয়ার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের কষ্ট বাড়ছে।
এসব কর্মকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশকে খুব সতর্ক থাকতে হবে।’ যে বা যারা এই চক্রের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
বর্তমানে চলমান জাতীয় ‘জরুরি সেবা ৯৯৯, অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, অনলাইন জিডি’ ইত্যাদি সেবার প্রসঙ্গ তুলে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভবিষ্যতে তথ্য প্রযুক্তিগত সেবার পরিধি বাড়াতে পুলিশকে আরো সচেষ্ট থাকতে হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে ও সর্বোপরি শত বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সুশাসনের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো আইনের যথাযথ প্রয়োগ।