প্রকাশ: বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তামিমদের জয় ৬ উইকেটে। রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে বিপিএল ২০২৪ এর ফাইনাল নিশ্চিত করল তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল।
এই জয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখল বরিশাল। এর আগে প্রথম ফাইনালিস্ট হিসেবে নাম লেখায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগামী ১ মার্চ দুই দলের শিরোপা নিষ্পত্তির ম্যাচ।
আজ বুধবার মিরপুর-শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৪৯ রান তোলে রংপুর। ব্যাট হাতে ২৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন শামীম পাটোয়ারি। জবাবে, ৯বল হাতে রেখেই জয়ের নাগাল পেয়ে যায় ফরচুন বরিশাল। জয়ের ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে নায়ক মুশফিকুর রহিম।
১৫০ রানের মাঝারি লক্ষ্য। তাড়া করতে নেমে শুরুটায় ভালোর আভাস দেয় বরিশাল। কিন্তু সেই ভালো স্থায়ী হয়নি। দলীয় ২১ রানেই উইকেট খোয়ায় বরিশাল। রংপুরের বিদেশি তারকা ফারুকির ওভার সামলাতে পারলেও আবু হায়দারের ফাঁদে পা দিয়ে বসেন তামিম। চতুর্থ ওভারে এক্সট্রা কাভারে মোহাম্মদ নবির হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন বরিশাল অধিনায়ক। ৮ বলে ১০ রানের বেশি করতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার।
আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজকেও নিজের শিকার বানান রনি। মিরাজকে এলবির ফাঁদে ফেলে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন রনি। ১৪ বল মোকাবিলায় মিরাজ করেন মোটে ৮ রান। ২২ রানে জোড়া উইকেট হারানোর পর ব্যাকফুটে হওয়া বরিশালের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকার।
৪৭ রানের এই জুটি ভেঙে রংপুরকে খেলায় ফেরান মোহাম্মদ নবি। উইকেটের পেছনে সৌম্যকে ২২ রানে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান আফগান তারকা। বরিশালের পরের জুটিটাও জমে যায়। মাত্র ২৭ বলে ৫০ রানের চমৎকার জুটি উপহার দেন মুশফিক ও কাইল মায়ার্স। ফারুকির বলে মায়ার্সের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।
বরিশালের শেষ আশা তখন মুশফিক-ডেবিড মিলারের দিকে। পঞ্চম ওভারে সেই প্রত্যাশার দাবি মেটাতে পেরেছেন দুজন। অবিছিন্ন থেকেই নিশ্চিত করেছেন বরিশালের ফাইনাল। ১৮.৩ ওভারে সাকিবের বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে বরিশালের জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেন মিলার। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৮ বলে ২২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি রংপুরেরও। দলীয় আট রানের মাথায় শেখ মেহেদির বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মেহেদি। পাঁচ বল খেলেও দুই রানের বেশি করতে পারেননি এই ব্যাটার।
শুরুতে উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি রংপুর। দলীয় ১০ রানের মাথায় ফেরেন অন্যতম বড় তারকা সাকিব আল হাসান। এবারও ত্রাতার ভূমিকায় সেই সাইফউদ্দিন। চার বলে এক রান করে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর চাপ সামাল দেওয়ার আগে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। দলীয় ১৮ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। ১২ বলে আট রান আসে তার ব্যাট থেকে।
মাত্র ১৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায় রংপুরের। তবে, নিকোলাস পুরাণ ও জেসি নিশামের ব্যাটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা বড় সংগ্রহের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। দলীয় ৪৮ রানের মাথায় ফেরেন পুরাণ। ১২ বলে মাত্র তিন রান আসে তার ব্যাট থেকে।
তবে, রংপুর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় নিশামের বিদায়ে। দলীয় ৪৮ রানের মাথায় ফুলারের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই কিউই ব্যাটার। গত ম্যাচে কুমিল্লার সঙ্গে জিততে না পারলেও এই ব্যাটার ৯৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। নিশামের বিদায়ের পর শামীম পাটোয়ারি ও আবু হায়দার রনির ব্যাটে এগিয়ে যায় রংপুর। মূলত লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন শামীমই। ২০ বলে ফিফটি করে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন শামীম। রংপুরের এই ক্রিকেটার এখন সাকিবের সঙ্গে যৌথভাবে এবারের বিপিএলে দ্রুততম ফিফটি করা ক্রিকেটার।
badsha