প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৩:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৪:০২ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর বাওয়ার কুমারজানী মা সিএনজি ও ফিলিং স্টেশনের অনুমান ১০০ গজ পূর্ব পাশে জনৈক আব্বাছ আলীর বাড়ীর উত্তর পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপর গত ১৭ই ফেব্রুয়ারিতে ট্রাক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এখনো থেমে থাকেনি ডাকাতিদের সিন্ডিকেট।
মহাসড়ক রাস্তার পাশে মোবাইলের কাভারে গ্যাসলাইট জ্বালিয়ে রেখে রাস্তার ধারে বসে থাকে কয়েকজন মিলে। ভুল বসত যদি কেউ মোবাইল হাতে নিতে যায় তখনই পড়ে ডাকাতের খপ্পরে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে গোড়াই যাওয়ার পথে মা সিএনজির অপজিট পাশে পল্লী বিদ্যুৎ এর পশ্চিম পাশে রাস্তায় এমন ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে।
সরজমিনে দেখা,মহাসড়কের উপর মোবাইলের কাভারের উপর রাবার দিয়ে একটি লাইটার লাগিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা। তার সাথে পাশে বসে থাকা দু'জন এবং দাড়িয়ে একজন। কিছু দূর সামনেই দেখা যায় একটা বড় ঝোপঝাড় যেখানে পরে আছে প্রায় ২০/৩০ টা মোবাইল কাভার, পকেট মানিব্যাগ, ব্লেড এবং গ্যাস লাইট। ঘটনাস্থলে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম কে রাত ১ টার দিকে জানালে, তৎক্ষনিক ভাবে দু'গাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসে। আলামত হিসেবে সেখানে একটা মোবাইলের কাভারে পেচানো থাকা গ্যাস লাইট উদ্ধার করেন।
পুলিশসুত্রে জানা যায়, এখানে প্রায় সময় এমন ঘটনা ঘটে। কিন্তু আমাদের গাড়ি আসার সাথে সাথেই ডাকাতদল পালিয়ে যায়। তবে এতি শিগগিরই ডাকাত দলের সবাইকে আটক করা হবে।
এলাকাবাসীর তথ্যসূত্রে জানা গেছে, রাত ১১ টা থেকে ২ টার মধ্যে এখানে দু'দিন পরপরেই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নির্জন এলাকা বলে এখানে প্রায় সময় এমন ভাবে মোবাইলের কাভার পেছিয়ে লাইট জ্বালায় যা দেখে মনে হবে এটা একটা আস্তো মোবাইল। আর সেখানেই ডাকাতের খপ্পরে পরতে হয়।
যদি দেখেন মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখা সে মোবাইল ফোন হাতে নেয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ সেটাই হচ্ছে একটা বড় ফাদ যা আপনার জীবনের একটা আতংক। মহাসড়কে কেউ রাতের আধারে পার্শ্ব রাস্তায় যাতায়াত না করাই ভাল।
কারণ যত দুর্ঘটনা ঘটে পার্শ্ব রাস্তায় এতে আপনার জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গত ১৭ই ফেব্রুয়ারিতে রাত ১ টার দিকে বস্তা ফালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করছে মির্জাপুর থাকা পুলিশ। কিন্তু এখনো থেমে নেই ডাকাতের সিন্ডিকেট যা সাধারণ মানুষের আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে।