প্রকাশ: বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯:৪৯ অপরাহ্ন
জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর থেকে তাকে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দেখা যায়নি। তবে সেই মাহমুদউল্লাহকেই কুড়ি ওভারের ক্রিকেট অটোমেটিক চয়েস হিসেবে দেখছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
আজ মিরপুরে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘কী বলবো। রিয়াদের ব্রিলিয়ান্ট পারফরম্যান্স। একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে জায়গাটায় তার স্ট্রাইক রেট ছিল, দ্যাট ওয়াজ ফ্যান্টাসটিক। ওই স্ট্রাইক রেটেই তো সে আটোমেটিক্যালি চলে আসে টি-টোয়েন্টিতে। আর এখন তো প্রমাণ করছে। যে জায়গায় সে খেলছে, অটোমেটিক চয়েজ। এই মুহূর্তে সে চান্স পাবে কী পাবে না, এই প্রশ্নটা উঠছে না। হি ইজ ডুইং ওয়েল, পারফর্মিং ওয়েল। নাও হি হ্যাজ বিক্যাম অ্যা পারফর্মার। আমি তো মনে করি অটোমেটিকালি হি কামস ইনটু দ্য সাইড। দ্বিতীয় চিন্তার অবকাশ নেই।’
৩৭ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ চলতি বিপিএলের পাঁচ ম্যাচের দুটিতে অপরাজিত থেকে রান করেছেন ১০৪, স্ট্রাইক রেট ১৬৫.০৭। এই বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘বয়স ইজ নট অ্যা ফ্যাক্টর। আপনি ফিজিক্যালি হাউ মাচ ফিট দ্যাট ইজ ভেরি ইমপরট্যান্ট। অ্যান্ডারসন কিন্তু ৪১ বছর বয়সেও বোলিং করছে, টেস্টে করছে। কোনও খেলোয়াড় যদি নিজেকে ফিট রাখে, হি ক্যান কন্টিনিউ। যদি পারফর্ম করে তাহলে তো তাকে টিমে রাখতে অসুবিধা নেই। হি ইজ পারফর্মিং। বোলিং, ফিল্ডিংয়ে সে প্রোঅ্যাক্টিভ। তাহলে হোয়াই নট। এখানে এইজটা বড় ফ্যাক্টর নয়।’
ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ শেষে জাতীয় দলের অনেক কোচিং স্টাফদের সাথেই চুক্তি নবায়ন করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে পেস বোলিংসহ অনন্য কোচিং স্টাফদের ব্যাপারে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। অনেকে অ্যাপ্লাই করেছে। এখানে আমি আজ বসেছিলাম ডেভিড মুরের সঙ্গে। আমরা একটা কমিটি করেছি। এই কমিটিতে নাঈমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাহমুদ সুজন ও আমি আছি। ডেভিড মুর আছে, সিইও আছে। মুর গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে এসেছেন। আজ বসেছিলাম। সবগুলোকে এক সঙ্গে করে শর্ট লিস্ট করা হচ্ছে। যদি কোনও মেম্বারের ফিডব্যাক দিতে হয়, তারা দিচ্ছে। এই কাজগুলো করে ফেলছি। আমরা দুই-তিনদিনের মধ্যে আবার বসবো। এরপর হয়তো ভার্চুয়ালি ইন্টারভিউ নেওয়া শুরু করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘চেষ্টা করবো (শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে)। আশা করছি ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই প্রক্রিয়াটা শেষ করতে পারবো। নতুন কেউ যদি অ্যাপয়েন্টেড হয়, তারা যেন দ্রুত কাজে নামতে পারে সে ব্যবস্থা করবো।’