প্রকাশ: বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
ইসলামাবাদের জবাবদিহিতা আদালত (অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট) আজ বুধবার তোশাখানা মামলায় তাকে এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত।
রায়ে জেল-জরিমানা ঘোষণার পাশাপাশি ইমরান খানের উপর পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি এই দম্পতিকে ১ দশমিক ৫৭৩ বিলিয়ন পাকিস্তানী রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালে ইমরান খান অনেক উপহার পেয়েছিলেন। সেগুলো তোষাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছাড়াও তোষাখানা থেকে বিদেশি উপহার নিয়েছিলেন দেশটির বর্তমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টসহ আরও অনেকেই। দেশের সরকার ও বিদেশি রাষ্ট্র থেকে সরকারি প্রতিনিধিরা যে উপহার পান, তাই জমা করা হয় তোষাখানায়।
প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় উপহার পাওয়া কিছু জিনিস পরে দাম দিয়ে কিনে নিয়েছিলেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি। অভিযোগ, জিনিসগুলোর যা দাম ছিল, তার থেকে অনেক কম টাকা দিয়ে সেগুলো কিনেছিলেন তিনি। সেই বিষয় নিয়েই মামলা চলছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার অ্যাকাউন্টিবিলিট কোর্ট ইমরান খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৪ বছরের কারাদণ্ডদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের (সাইফার) মামলায় ইমরান খান এবং তার দল পিটিআইয়ের সহসভাপতি শাহ মেহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত।