প্রকাশ: বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকাশে ভারতের প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটেছে- এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলা হয়- সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে, কানাডার একটি তদন্তে জানা গেছে, রাশিয়া এবং চীনের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে আঞ্চলিক শক্তি ভারত। এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
এর জবাবে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনি কানাডার তদন্তের বিষয়ে যে রেফারেন্স তুলেছেন, আমার কাছে এ বিষয়ে উত্তর নেই। এর উত্তর কানাডা কর্তৃপক্ষই দিতে পারবে। বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তৃতীয়বারের মতো ম্যাথিউ মিলার বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে আমরা দেখতে পেয়েছি। একইসঙ্গে বিরোধী দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করায় উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলার আহ্বান জানান ম্যাথিউ মিলার। তার কাছে ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল- ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক রিপোর্ট অনুসারে, কানাডার একটি তদন্তে জানা গেছে, রাশিয়া এবং চীনের পাশাপাশি দেশটির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে ভারত।
চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে জাতীয় নির্বাচনে ভারতের পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে একপক্ষীয় নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ভারতের সমর্থন দেয়ার কথা গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সমালোচকরা বলছেন, ভারতের এমন সক্রিয় প্রভাববলয়ের কারণে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রচেষ্টা থেকে সরে যায়। এ বিষয়ে আপনার জবাব কি?
ওই সাংবাদিকের এ প্রশ্নের উত্তরে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনি কানাডার তদন্তের যে কথা বলেছেন, সে বিষয়ে আমার কাছে কোনো উত্তর নেই। এ বিষয়ে কানাডা বলতে পারবে। বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি বলবো- যেমনটা আমরা বহুবার বলেছি বাংলাদেশ ও অন্যদের বেলায়, তা হলো শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত। এটাই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য কেন্দ্রে আছে। গণতান্ত্রিক নীতিকে সামনে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে যোগাযোগ রাখছি আমরা। বাংলাদেশের সব মানুষের শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ।