রাশ্মিকা মান্দান্না, ক্যাটরিনা কাইফ, কাজল, আলিয়া ভাট এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পর এবার বলিউড অভিনেত্রী ও ড্যান্সার নোরা ফাতেহির ডিপফেক ভিডিও অনলাইনে দেখা গেছে। অভিনেত্রীর একটি ভুয়া ভিডিওতে তাকে একটি ব্র্যান্ডের প্রচার করতে দেখা গেছে।
নোরা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সেই ভুয়া ভিডিওর একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন এবং সেটি ‘ভুয়া’ সম্বোধন করে সবাইকে সতর্ক করেছেন। ভারতে ডিপফেক মামলার উদ্বেগজনক বৃদ্ধির মধ্যে, নোরা ফাতেহি এবার ডিপফেক প্রযুক্তির শিকার হযলেন।
ভাইরাল ক্লিপটিতে অভিনেত্রীকে একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি এত নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে যে এটি নোরার নয় তা প্রমাণ করাই কঠিন হবে। নোরার কন্ঠ থেকে তাঁর শারীরিক ভাষা, সবকিছুই ভিডিওটিতে নিখুঁতভাবে আবিষ্ট করা হয়েছে।
গত বছরের শেষভাগে অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের একটি ভুয়া ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে বেশ তোলপাড় ফেলেছিল।
ভিডিওতে দেখা গেছে, হালকা রঙের কো-অর্ডার সেট পরা আলিয়া বিছানায় বসে ক্যামেরার জন্য বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে পোজ দিচ্ছেন। তবে ভিডিওটি ফেইক। ভিডিওর আসল নারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। সেই নারীর মুখে আলিয়ার মুখবয়ব সেট করে ডিপফেক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে ভিডিও।
এর আগে একই পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন রাশ্মিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ ও কাজলের মতো অভিনেত্রীরা। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও বেশ তোলপাড় হয়েছিল।
‘ডিপফেক’ মুলত এমন প্রযুক্তি যার সাহায্যে কারও ছবি বা ভিডিও এমনভাবে এডিট করে দেওয়া যাতে আপাতদৃষ্টিতে আসল-নকলের পার্থক্য বোঝা কঠিন হয়ে যায়। এখন এর জন্য AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে ভারতের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
অনলাইনে এধরনের ‘ডিপফেক’ ভিডিও ভাইরাল হলে কী কী শাস্তি হতে পারে, তা জানিয়েছে মন্ত্রনালয়। তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ৬৬-ডি ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কম্পিউটার রিসোর্সকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ যোগাযোগের মাধ্যমকে ভুল ভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে, কিংবা কোনও ব্যক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়, তাহলে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, প্রত্যেক ভারতীয় যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। নাগরিকদের অনলাইন নিরাপত্তা এবং তাদের বিশ্বাস অর্জন করাই মোদি সরকারের কাজ।