প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪, ৭:৪০ অপরাহ্ন
নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতা মামলার ৮ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস।
আজ বৃহস্পতিবার মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালতের বিচারক মো: আব্দুর রহমান সরদার তাঁকে সহ দুজনের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনপ্রাপ্ত অন্যজন হলেন- মুজিবনগরের আনন্দবাস গ্রামের মামুন অর রশিদ।
গত ১০ জানুয়ারি মুজিবনগরের আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি সোমবার রাতে নৌকার সমর্থকরা আনন্দ মিছিলকে করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে গিয়ে উস্কানিমূলক শ্লোগান দেয় এবং জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসের চাচাকে চড় থাপ্পড় মারে। চড় থাপ্পড় মারার কারণ জানতে চাইলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের কর্মিদের সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
এসময় উভয় পক্ষের ২১ জন কর্মি সমর্থক আহত হয়। পরে মুজিবনগর থানা পুলিশ গিয়ে সেখানা ফাকা ৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে দু-পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক আলতাফ হোসেন বাদি হয়ে মুজিবনগর থানায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসকে প্রধান আসামী করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসের পক্ষে আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন অ্যাড. মিয়াজান আলী, খ ম হারুন বিন ইমতিয়াজ জুয়েল, কামরুল হাসান। সরকার পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক।