প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪, ১:২৩ অপরাহ্ন
গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলীয় সুফান বুরি প্রদেশের সালা খাও শহরে একটি আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণে ২৩ জন নিহত হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা উদ্ধারকর্মীদের সরবরাহ করা ছবিতে দেখা যায়, বিস্ফোরণস্থলের আশপাশে ধাতব আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এবং বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ছে।
থাইল্যান্ডের এক্সপ্লোসিভ অর্ডিন্যান্স ডিসপোজাল (ইওডি) গ্রুপের উদ্ধৃতি দিয়ে সুফান বুরি প্রদেশের গভর্নর নাট্টাপাত সুয়ারপ্রতিপ বলেন, ‘আমরা ইওডির মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সেখানে ২৩ জন মারা গেছে।’ তবে কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটল সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
নাট্টাপাত বলেন, দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, কারখানাটির বৈধ লাইসেন্স নিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এ বিষয়ে পুলিশের লেফটেনেন্ট জেনারেল নাইয়াওয়াত ফাদেমচিড বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বিস্ফোরণের বিষয়টি সুইজারল্যান্ড সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী স্রেত্থা থাভিসিনকে জানানো হয়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সরকারিভাবে এখনও মৃতের সংখ্যা নিরূপণ করা যায়নি, তবে কমপক্ষে ২০ জন মারা গেছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, আশপাশের এলাকায় প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং মরদেহ শনাক্তের কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘কারখানাটিতে ২০ থেকে ৩০ জন কর্মী কাজ করতেন।’
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেত্থা থাভিসিন এক অনলাইন বার্তায় বিস্ফোরণে নিহত লোকজনের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন।
থাইল্যান্ডে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা মোটেও বিরল নয়। গত বছরও দক্ষিণাঞ্চলীয় নারাথিওয়াত প্রদেশের সুনগাই কোলোক শহরে একটি কারখানায় বিস্ফোরণে ১০ জন মারা গিয়েছিল। এ ছাড়া গত বছর উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াং মাই শহরের একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ জন আহত হয়েছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণেই মূলত এসব দুর্ঘটনা ঘটে।