সদর উপজেলার সাতপাড় বাসস্ট্যান্ডে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর গাছের লক,বাঁশ,ইট,বালু, তরিতরকারি,মাছ এবং মুরগীর দোকানগুলি দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে বসেছে। স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে যার যা খুশি তাই করছে আঞ্চলিক মহাসড়কটির সাতপাড় বাসস্ট্যান্ডে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে সাতপাড় বাসস্ট্যান্ডে চলছে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার যানবাহন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ২১/২২ জন গাছের লক ব্যবসায়ী মহাসড়কে লক রেখে ব্যবসা করছেন। সেই সাথে গড়ে তুলেছেন স'মিল। এসব স'মিলের নেই কোন সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ড না থাকায় সুস্পষ্ট বোঝা যায় তাদের ট্রেড লাইসেন্স, বন বিভাগ,পরিবেশ অধিদপ্তর,ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা নিষিদ্ধ লিপটি (ইউক্যালিপটাস) গাছের লক দেশের উত্তরাংশের জেলাসমুহ থেকে গোপালগঞ্জে এনে অবাধে বিক্রি করছে। সাতপাড়ের স'মিলগুলোর সামনে আম,জামসহ বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের লক দেখা গেছে।
স'মিল মালিক আবু জাফর শেখ বলেন, আমরা আমাদের ব্যবসা অচীরেই বেগবান করবো। এখানে ২১/২২ জন ব্যবসায়ীরা সবাই আমরা কাগজাদী করার আশা করি। তবে আমাদেরকে সহজ শর্তে কাগজ দিতে হবে। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ কাগজ করেছে। বেশির ভাগ লক ব্যবসায়ীরা কাগজাদি না করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করায় সরকার বঞ্চিত হচ্ছে উল্লেখযোগ্য পরিমানে রাজস্ব প্রাপ্তি হতে।
গোপালগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: মাহফুজুর রহমান বলেন, লক ব্যবসায়ী বা স'মিল মালিকরা নতুন করে কাগজাদি করে ব্যবসা করতে চাইলে বিধিমালা মানতে হবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম.রাকিবুল হাসান বলেন, আমি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে নতুন যোগদান করেছি। তবে খোঁজ নিয়ে সাতপাড় বাসস্ট্যান্ডে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট মহাসড়কের উপর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে অবৈধ দোকান সরিয়ে যানবাহন চলাচল নিরাপদ করা হবে।