প্রকাশ: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:২৮ অপরাহ্ন
ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রবাসীর সাথে প্রতারণা। কান্না জনিত কন্ঠে সরকার এবং প্রশাসনের কাছে দালালের বিচার চেয়ে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তালতলী সাংবাদিক ফোরামে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতারণার শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমানের পরিবার জানায়, মালয়েশিয়া ৬০ হাজার টাকা বেতনে ভালো অফিশিয়াল চাকরি আছে ওই চাকরিতে যেতে হলে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাগবে বলে জানান একই উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের দক্ষিন সওদাগরপাড়া গ্রামের মো.রহমান এর পুত্র জুয়েল। তার কথায় চিন্তাভাবনা না করে রাজি হয়ে যান গ্রামের সহজ সরল মিজানের বাবা-মা। ধার দেনা, গহনা বিক্রি আর জমি বন্ধক রেখে দালালের চাহিদা মতো পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে চলতি বছরের মে মাসে মিজানকে বিদেশে পাঠান। মিজান ছাড়াও আরও ৫/৬ জনকে ভালো চাকরির কথা বলে প্রবাসে পাঠায় জুয়েল, এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু মালয়েশিয়া যাওয়ার পর সব কিছু বদলে যেতে থাকে। অফিশিয়াল কাজ না দিয়ে পাম বাগানে কাজ করার জন্য মিজানকে দেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মিজানের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। পাম বাগানে গিয়ে দেখে গাছে বড় বড় বিষক্ত সাপ, চোখের সামনে বুনো হাতিতে মানুষ মেরে ফেলছে। সেখানে জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। পরিবার ও ধার দেনার কথা চিন্তা করে বাগানে কাজ করতে গিয়ে মিজান কয়েকবার দুর্ঘটনার শিকার হলে তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসেন। এমনকি অসুস্থ অবস্থায় পাননি চিকিৎসা সেবাও। বর্তমানে তার পরিবার অচল অবস্থায় আছে। বিদেশে যাওয়া থেকেই অদ্য পর্যন্ত তিনি কোন টাকা পয়সা পাঠাতে পারে নাই। বর্তমানে ১২-১৫ দিন পর্যন্ত আমার ভাই এর সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করিতে পারছিনা।
এসময় ভুক্তভোগী পরিবার মিজানের সন্ধান চান এবং দালাল জুয়েল যে টাকা নিয়েছে তা যেন ফেরত চান। যাদের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হলেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও চান এই পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- প্রবাসী মিজানের ভাই মো.মিরাজ, পিতা ইউসুফ ক্বারী, স্ত্রী মীম ও চাচা ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।