প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:০৯ অপরাহ্ন
ভারতের আসামে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও প্রকাশ্য স্থানে গরুর মাংস পরিবেশন ও খাওয়ার ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন রাজ্যটির বিজেপিদলীয় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বকর্মা। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলেন তিনি এই ঘোষণা দেন। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত এক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গরুর মাংস খাওয়াসংক্রান্ত বিদ্যমান আইন সংশোধনে বৈঠকটি করা হয়। আইন সংশোধনের উদ্দেশ্য ছিলো নতুন বিধান যুক্ত করা।
তিনি বলেন, আসামে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কোনো রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে গরুর মাংস পরিবেশন করা হবে না এবং এটি কোনো পাবলিক ফাংশন বা জনসমাগমস্থলেও পরিবেশন করা হবে না। তাই আজ থেকে আমরা সম্পূর্ণভাবে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও জনসমাগমস্থলে গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আগে মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গরুর মাংস পরিবেশন বা খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিধান ছিল। কিন্তু এখন তাঁরা এই নিষেধাজ্ঞার পরিসর বাড়ালেন। যাতে প্রকাশ্যে, হোটেল বা রেস্তোরাঁয় এটি খাওয়া যাবে না।
কয়েক দিন আগে কংগ্রেস অভিযোগ করে, বিজেপি মুসলিম-প্রধান সামাগুরি অঞ্চলে নির্বাচন জিততে গরুর মাংস বিতরণ করেছে। এই অভিযোগের জবাবে হিমন্ত জানান, যদি রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন কুমার বোরা তাকে এ বিষয়ে লিখে অনুরোধ করেন, তবে তিনি আসামে গরুর মাংস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে প্রস্তুত।
আসামে গরুর মাংস খাওয়া বেআইনি নয়। কিন্তু আসাম গবাদিপশু সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, হিন্দু, জৈন ও শিখ সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় গরু জবাই ও গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ। এছাড়া মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গরু জবাই ও গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ। এখন রাজ্যজুড়ে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও প্রকাশ্য স্থানে গরুর মাংস পরিবেশন ও খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।