
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা সোমবার জানিয়েছেন, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনির্দিষ্টসংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে।
এক সামরিক সূত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, শনিবারের এই হামলা ‘দিনিপ্রো শহরের বাইরে চেরকাসকে গ্রামের কাছে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হয়েছে।
এছাড়া প্রভাবশালী ইউক্রেনীয় সামরিক ব্লগার ইউরি বুটুসভ জানিয়েছেন, হামলায় ৩০ থেকে ৪০ জন সেনা সদস্য নিহত ও আরো ৯০ জন আহত হয়েছেন।
তবে সরকারিভাবে এখনো হতাহতের কোনো সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল মিখাইলো দ্রাপাতি নিহতদের পরিবারের প্রতি ‘গভীর সমবেদনা’ জানিয়ে বলেছেন, ‘এই ট্র্যাজেডি শত্রুর হামলার ভয়াবহ পরিণতি।’
পাশাপাশি ইউক্রেনীয় সংসদ সদস্য মারিয়ানা বেজুগলা ফেসবুকে লিখেছেন, হামলার সময় সেনা সদস্যরা সারিবদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। তিনি কমান্ডারদের ‘অসতর্কতা’ ও ‘নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যর্থতার’ জন্য দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে সামরিক সূত্র এএফপিকে বলেছেন, ‘সেখানে কোনো সারিবদ্ধ হওয়া বা মানুষের জমায়েত ছিল না। শত্রুপক্ষ একটি ইস্কান্দার-এম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যাতে গুচ্ছবোমা ছিল। ধ্বংসাত্মক উপাদানগুলো বড় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধে এ ধরনের আরো কয়েকটি হামলা হয়েছে।
এর মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে পোলটাভার একটি সামরিক ইনস্টিটিউটে হামলায় প্রায় ৬০ জন নিহত হন।
দ্রাপাতি জানান, ‘অপরাধমূলক অবহেলার’ কারণে আগের হামলা থেকে শিক্ষা নেওয়া হয়নি এবং এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হবে। কিছু সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘আমার ভেতরে ক্ষোভ দাউ দাউ করে জ্বলছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কেউ যেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার আড়ালে সত্যকে লুকানোর চেষ্টা না করে, তা আমি নিশ্চিত করব।’