প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৪৭ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লোয়িজ ইউনিয়নের (জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অন্তর্ভুক্ত) সভাপতি মো. আব্দুল হালিমের হত্যাকান্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের ছেলে এ জেড এম ফয়সাল খান। হত্যাকারীরা বর্তমানে কৃষি ব্যাংকে বহাল তবিয়তে চাকুরি করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার স্বজনরা।
লিখিত বক্তব্যে এ জেড এম ফয়সাল খান জানান, আমার পিতাকে হত্যার পর হত্যাকারীরা প্রথমে ৩০ লাখ টাকায় আপোসরফা করার চেষ্টা করে। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি প্রদান করেন হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী সংগঠনের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। বর্তমানে আমাদের পুরো পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে তারা। এ অবস্থায় আমরা পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছি।
তিনি আরও জানান, গত ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমার পিতা মো. আব্দুল হালিম ও তার সহকর্মী নাছিম আহম্মদ চৌধুরী ও আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে মতিঝিলের বকচত্ত্বরের উত্তর পাশের গোলির চায়ের দোকানে গিয়ে চা পান করছিলেন। এমন সময় মতিঝিল শাখার কৃষি ব্যাংকের কর্মচারী মো. ফয়েজ উদ্দিন আহম্মদ (৬২), মো. মিরাজ হোসেন (৫৫), গাড়ীচালক সাহেদ (৩০), গাড়ীচালক সাইফুল, সাহাবুদ্দিন (৬১), আসলাম উদ্দিন (৫৮), মো. সিরাজুল ইসলাম (৫৯) ও কম্পিউটার অপারেটর মেহেদী হাসানসহ (৩৫) আরও অজ্ঞাত ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুল হালিমের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে করে আমার পিতা আব্দুল হালিমসহ তার সহকর্মীরাগুরুতর আহত হন। পরে হামলাকারীরা আমার পিতাকে টেনে-হিঁচড়ে কৃষি ব্যাংক ভবনের ১০ম তলার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের অফিসে নিয়ে পুনরায় ব্যাপক মারধর করে। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে। তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে উপস্থিত সহকর্মীরা তাকে কাকরাইলের সেন্ট্রাল ইসলামী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গত ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর আব্দুল হালিম জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি জিডি করেছিলেন (জিডি নম্বর-৪/৩৩৫,তাং: ০৫/১১/২০২৪ইং)।
বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান কিন্তু জিডি করার এক মাসের মধ্যেই তাকে প্রকাশ্যে মরধর করে হত্যা করা হয় বলে জানান তিনি।