প্রকাশ: রোববার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ২:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: রোববার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ২:৫২ অপরাহ্ন
পরবর্তী সংসদ গঠনের আগ পর্যন্ত মেয়াদ রেখে জারি হতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ ২০২৪। যেখানে বলা হচ্ছে, এ সরকার গঠনে ত্রুটি থাকলেও কোনো কার্যক্রম অবৈধ হবে না। আইনজীবীরা বলছেন, এই অধ্যাদেশ আরও আগে জারি না করায় জন্ম হয়েছে অনেক প্রশ্নের।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর তিনদিন কোনো সরকারই ছিল না। ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে শুরু থেকে এই সরকারের মেয়াদ ও নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি।
এবার অন্তর্বর্তী সরকারকে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’ নামে। যার চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। এতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নির্দিষ্ট নয়। ত্রয়োদশ সংসদ গঠিত না হওয়া এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ পর্যন্ত ক্ষমতা থাকবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের।
এই সরকারের কোনো কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বা অন্য কোনো আদালত কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না, এমনকি একে অবৈধও ঘোষণা করতে পারবে না। পাশাপাশি এ বিষয়ে কোনো মামলা বা আইনি প্রক্রিয়াও চালানো যাবে না।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, গণঅভ্যুত্থানের যে আইনি বৈধতা এটি শুরুতেই একটি প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার জারি করে করলে ভালো হতো। তা না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাস্তাকে বেছে নেয়া হয়েছে। এই জন্যই নানান প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাহউদ্দিন দোলন, দেশে তিনদিনের মত সরকার ছিল না, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ হলে অনেক হইচই হতো। আমি মনে করি উনারা দেশ পরিচালনার জন্য যা করা দরকার করবেন। এটি বৈধতা পাবেই। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং এর বৈধতাও দেয়া হয়েছে।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনে কোনো ত্রুটি থাকলেও তার কোনো কার্যক্রম অবৈধ হবে না। নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ ও নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে পারবে তারা। তবে ঠিক কবে এই অধ্যাদেশ জারি হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।