শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেল জাপানি সংস্থা নিহন হিডানকিও। নোবেল পুরস্কার আসরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার এটি। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টা নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
এটি হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা হামলায় বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলন, যা ‘হিবাকুশা’ নামে পরিচিত।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, নিপ্পন হিডানকিও পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টার জন্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার যে মানবতাবিরোধী কাজ, তা তুলে ধরার জন্য এ সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
হিবাকুশারা বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের কাছে পরমাণু বোমার ধ্বংসাত্মক পরিণতি এবং মানব জীবনে এর ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। তাদের সাহসী প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকারের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে নিপ্পন হিডানকিও। সংস্থাটি বিশ্বাস করে, বিশ্বে আর কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হতে দেওয়া উচিত নয়।
এর আগে, ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি । ইরানি নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রচারের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
২০২২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান বেলারুশের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রুশ মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।
২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য দুঃসাহসিক লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তিনবার শান্তিতে নোবেল পেয়েছে রেড ক্রস (১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে)। এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর পেয়েছে দু’বার (১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে)।