প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২:৫৮ অপরাহ্ন
কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়া সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নানকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে আনা হয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। বর্তমানে তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তিনি ডিভিশনপ্রাপ্ত হওয়ায় হাসপাতালেও ডিভিশন পেয়েছেন।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানান, শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীকে চেকআপের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করেন। তার নিরাপত্তায় জেল পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্রের আদালতে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযাগে একটি মামলা করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, রণজিত চন্দ্র সরকার, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, রেজাউল করিম শামীম, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখতসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
এই মামলায় এম এ মান্নানকে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে ছিলেন। সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা অবস্থায় শনিবার সকালে অসুস্থবোধ করলে তাকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে সিলেট কারা হাসাপাতালে নেওয়া হয়।