প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন
আড়াই বছরেই পদত্যাগ করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে আউয়াল কমিশন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলেও জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। যদিও মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রায় এক মাসে নির্বাচন কমিশনে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্র–জনতা। এরই প্রেক্ষিতে সিইসি ও অন্য কমিশনাররা পদত্যাগ করতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠে। সকল জল্পনার কল্পনার পর আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনাররা পদত্যাগ করলেন।
ইসির একাধিক সূত্র জানায়, কোনো কিছুর ব্যত্যয় না ঘটলে বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা আসবে। পদত্যাগের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন কমিশনাররা। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বেশ কয়েকদিন অফিস করেননি। এমনকি তিনি ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিদায় নেন বলে জানা গেছে।
শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরদিন সিইসিসহ সব কমিশনার বসে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ইসি মো. আলমগীর এ সিদ্ধান্ত থেকে সবাইকে সরিয়ে আনেন। গতকাল বুধবার সিইসিসহ চার কমিশনার অফিস করেছেন। সারাদিন সাংবাদিকরা নানান বিষয়ে জানতে চাইলেও কোনো কমিশনার পদত্যাগের বিষয়ে মুখ খোলেননি।
এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অফিস থেকে বের হওয়ার সময় তাকে পদত্যাগ বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে সিইসি বলেন, ‘নো কমেন্টস। আগামীকাল দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করবো, তখন বিস্তারিত জানাবো।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কখন দেখা হবে? এমন প্রশ্নে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘কালই দেখা হবে। আপনাদের সব কিছুই জানাবো কাল।’
এর আগে গত মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার করতে হবে। কমিশনকে অবশ্যই স্বাধীন করতে হবে এবং তাদের সংস্কার করতে হবে। এ দাবি আমরা আগে থেকেই জানিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে আমরা অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করে বলেছি কমিশন সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে কোনোদিনই বাংলাদেশে সঠিক ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের সংস্কার দাবি করছি। এই নির্বাচন কমিশন যেভাবে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করেছে, তাদের দিয়ে সঠিক নির্বাচন হবে না।
২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল।