প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৪১ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন উরুগুইয়ান আইকন লুইস সুয়ারেজ। আগামী শুক্রবার মন্টিভিডিওতে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে সুয়ারেজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সর্বশেষ ম্যাচ।
৩৭ বছর বয়সী সুয়ারেজ সংবাদ সম্মেলনে আবেগজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারই দেশের হয়ে আমি শেষ ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া কখনই সহজ নয়। বেশ কিছুদিন এ বিষয়ে চিন্তা করেছি। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে উরুগুয়ের জার্সিতে সর্বোচ্চ দেবার চেস্টা করবো।’
বার্সেলোনা ও লিভারপুলের সাবেক এই স্ট্রাইকার তার প্রজন্মে অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। জাতীয় দলের জার্সিতে ১৪২ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬৯ গোল করে তিনি অবসরে যাচ্ছেন। ২০০৭ সালে উরুগুয়ের জাতীয় দলে তার অভিষেক হয়েছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির গিওর্গিও চিয়েলিনিকে কামড় দিয়ে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সুয়ারেজ যা তার ক্যারিয়ারের একটি কালো অধ্যায়। ২০১১ কোপা আমেরিকা জয়ী উরুগুয়ে দলের সদস্য ছিলেন ইন্টার মিয়ামির এই ফরোয়ার্ড। এই টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছিলেন। নয়টি বড় টুর্নামেন্টে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
সুয়ারেজ বলেছেন, কোপা আমেরিকায় উরুগুয়েকে শিরোপা জয়ে উদ্বুদ্ধ করা ছিল তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফল মুহূর্ত।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কোপা আমেরিকার শিরোপার সাথে আমি অন্য কোন কিছু মেলাতে চাইনা। সেটা আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময় ছিল। এর সাথে অন্য কোন কিছুরই তুলনা হয়না।’ পুরো ক্যারিয়ারে সাফল্য যেমন এসেছে, তেমনি বিভিন্ন কারনে সমালোচনাও তার পিছু ছাড়েনি।
২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে কামড়ের ঘটনায় টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ হবার আগে ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ঘানার বিরুদ্ধে গোল-লাইনের উপর থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ইচ্ছা করে হ্যান্ডবল করে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। সুয়ারেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও ঐ ঘটনায় প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে ঘানা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। পরবর্তীতে পেনাল্টি শ্যুট আউটে ঘানাকে বিদায় করে উরুগুয়ে সেমিফাইনালে খেলেছিল।
ক্লাব ফুটবলেও বিতর্ক তার নিত্য সঙ্গী ছিল। ২০১১ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরাসি স্ট্রাইকার প্যাট্রিস ইভরার বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের কারনে ইংলিশ কর্তৃপক্ষ তাকে আট ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছিল।
২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে উরুগুয়েকে এগিয়ে যাবার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন সুয়ারেজ। এ বছর কোপা আমেরিকায়ও তিনি উরুগুয়ের হয়ে খেলেছেন। যদিও বেশীরভাগ সময়ই কোচ মার্সেলো বিয়েসলার অধীনে বদলী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। কানডার বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচে সুয়ারেজ ক্যারিয়ারের ৬৯তম গোলটি করেছিলেন।