বিখ্যাত তবলা গুরু পণ্ডিত কানাইলাল দাসের শিষ্যত্ব গ্রহন করে নিবিড় অনুশীলনের মাধ্যমে যিনি নিজেকে বাংলাদেশ তথা এই উপমহাদেশে তবলাশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি প্রিয়ব্রত চৌধুরী।
বড় ভাই দেবু চৌধুরী যিনি বাংলাদেশের বিখ্যাত তবলা শিল্পীদের অন্যতম, তাঁরই সাহচর্যে এবং সহযোগিতায় প্রিয়ব্রত চৌধুরীর যন্ত্রশিল্পী হিসেবে একনিষ্ঠ পথচলা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তবলাশিল্পী হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা প্রিয়ব্রত শহীদ মতিলাল চৌধুরী ও অশ্রুকণা চৌধুরীর সন্তান।
চট্টগ্রামের রাউজানের আধারমানিক গ্রামে তার পিতার নামে স্কুল ও রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে। প্রিয়ব্রত তার শিক্ষাজীবন চট্টগ্রামের মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলে শুরু করলেও এসএসসি পরীক্ষা দেন আধারমানিক স্কুল থেকে এবং এইচ এস সি পাশ করেন চট্টগ্রামের মহসিন কলেজ থেকে।
১৯৭৫ সালে প্রিয়ব্রত চৌধুরী বাংলাদেশ বেতার ও ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসে একজন তবলা শিল্পী হিসেবে যোগ দেন এবং সেই থেকে এখনো তিনি সেখানে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন উচ্চ গ্রেডের তবলাবাদক হিসেবে দীর্ঘ ৪০ বছর উনি কাজ করে যাচ্ছেন।
দেশের সব বিখ্যাত সংগীতশিল্পী যেমন, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, আব্দুল হাদী, প্রবাল চৌধুরী, সুবীর নন্দী, খুরশীদ আলম, মাহমুদুন্নবী, কল্যানী ঘোষ, উমা খান, এন্ড্রু কিশোর, রফিকুল আলম, শেফালী ঘোষ, শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণব সহ প্রায় সবার সাথেই তিনি তবলায় সঙ্গীত করেছেন।
তিনি অনেক গুণী সঙ্গীত পরিচালক যেমন- সত্য সাহা, সুবল দাস, আজাদ রহমান, আলম খান, আনোয়ার পারভেজ, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল এবং আলাউদ্দিন আলীর সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সুইডেন, ভারত, ওমান ও কাতারে দেশের প্রথিতযশা শিল্পীদের সাথে তবলায় সঙ্গত করার মাধ্যমে শ্রোতাদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছেন। বর্তমানে প্রিয়ব্রত চৌধুরী দেশের বিভিন্ন চ্যানেলে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে সংগীতানুষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন।