অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, তেল-মশলাযুক্ত খাবার এবং ফাস্টফুড ও বাইরের বিভিন্ন ভেজাল খাবার দিনের পর দিন খেলে কিডনিতে পাথর হয়। পাথরের আকার বড় হলে অপারেশন ছাড়া গতি থাকে না।
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, পাথর ছোট থাকতে থাকতে যদি সঠিক নিয়ম ও ডায়েট মেনে খাবার খাওয়া হয়, তাহলে তা মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তাই, যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে এবং যারা কিডনির পাথর প্রতিরোধ করতে চান তারা কিছু অভ্যাস রপ্ত করুন।
পর্যাপ্ত পানি পান: কিডনির পাথর দূর করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। যত বেশি পানি পান করবেন, পাথর তত দ্রুত মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে। যিনি দিনে ১ গ্লাস পানি পান করেন আর যিনি ২৫ গ্লাস পানি পান করেন, দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় জনের ‘কোয়ান্টাম অফ ইউরিন প্রোডাকশন’ বেশি। ফলে মূত্রের বেগও বেশি। তাতে ছোট পাথর (১-২ মিলিমিটার) শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। তবে কোনো রকম ক্রনিক অসুখ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পানি পান করবেন।
লবণ খাওয়া কমান: কিডনির পাথর থেকে মুক্তি পেতে লবণ খাওয়া কমাতে হবে। কাঁচা লবণ, বাইরের খাবার, প্যাকেটজাত খাবার ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা এসব খাবারে থাকা সোডিয়াম কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখুন: কিডনির সুস্থতায় ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখুন। প্রোটিন বলতে প্রথমেই মাথায় আসে মাছ, মাংস, ডিমের কথা। তবে চিকিৎসকদের মতে, এ ক্ষেত্রে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যেমন সয়া, ডাল, সবজি ইত্যাদির উপর ভরসা রাখাই ভালো।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: কিডনির পাথর প্রতিরোধে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কেননা শুধু হাড়ের জন্য নয়, ক্যালসিয়াম কিডনির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম থাকলে কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বেঁচে যাবেন। এ ক্ষেত্রে ওষুধ না খেয়ে দুধ, পনির ইত্যাদি খেতে পারেন।
অক্সালেটযুক্ত খাবার: কিডনির পাথর দূর করতে পালং, বিট, বাদামের মতো খাবার খেতে পারেন। কেননা এসব খাবারে অক্সালেটের পরিমাণ বেশি। পাশাপাশি লেবু, কমলালেবু, আঙুর, ব্লু-বেরি জাতীয় সাইট্রিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল খাওয়া যেতে পারে। তবে কামরাঙা ও এ জাতীয় ফল বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।