মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনার উপায় নির্ধারণ করতে আগামীকাল বুধবার বৈঠকে বসছেন অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ওইদিন অর্থ মন্ত্রণালয়ে বেলা ১১টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনার জন্য অর্থ উপদেষ্টা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ লক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন অর্থ উপদেষ্টা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে জুলাই মাসজুড়ে আন্দোলন করেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে করে দেশে এক ধরনের অচলাবস্থা দেখা দেয়। ফলে রাজধানী ঢাকা কার্যত সারাদেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ছিল, বন্ধ ছিল পণ্য সরবরাহও। এর ফলে জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হয়, যা আগের ১২ বছরের মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ। এর আগে খাদ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল ২০১১ সালের অক্টোবরে ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ।
বিবিএসের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় জুলাই মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আগের মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দামও বেড়েছে। জুলাই মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ।
জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়েছে, আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। আন্দোলনের ফলে তিন খাতেই বেড়েছে মূল্যস্ফীতির হার।