প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪, ৭:২৩ অপরাহ্ন
চলমান কারফিউ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আগামীকাল বুধবার থেকে ১৩ ঘণ্টা শিথিল থাকবে কারফিউ।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এর আগে কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, আগামী চারদিন অর্থাৎ বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এ চারদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চলমান কারফিউ বলবৎ থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা অন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যে ডিমান্ড ছিল, তার সব মেনে নেওয়ার পরও সহিংসতা থামেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কারফিউ জারি করেছিলাম।
আমরা সারা দেশের শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করেছি৷ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আগামী বুধবার থেকে শনিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সেটি শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন যে, কবে থেকে পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তথ্যমতে, ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে এই শিথিলতা থাকবে। এ ছাড়া বাকি জেলাগুলোর সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসক নিবেন।
গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী জানিয়েছিল, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এ ছাড়া সিলেটে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। আর রাজশাহীতে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে সহিংসতার জেরে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। এ সময় গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রবি, সোম ও মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) পর্যন্ত ৩ দিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি এখনও তুলে নেয়া হয়নি।