মোবাইল ইন্টারনেট ফিরলেও বন্ধ থাকছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম। রবিবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট। তবে গ্রাহকরা বলছেন, শুরুতেই ধীরগতি পাচ্ছেন।
মোবাইল অপারেটর ও বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, আজ (২৮ জুলাই) বৈঠকে অপারেটরদের ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি এক ও তিন দিনের ডাটা প্যাকেজ করার ব্যাপারেও বলা হয়।
এদিকে ফেসবুক, টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে তলব করেছে বিটিআরসি। তাদের ৩ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী—বুধবারের (৩১ জুলাই) মধ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে সশরীরে হাজির হয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে হবে।
আপাতত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক বন্ধ থাকছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের কাছে বিটিআরসি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে যে ব্যাখ্যা চেয়েছে, তা স্পষ্ট করে না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধে তাদের কার্যক্রম খুলে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।
এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অনেক গ্রাহকের ডাটা প্যাকেজ কেনা থাকলেও তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গ্রাহকদের এ ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সব মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে ৫জিবি করে ডাটা বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যার মেয়াদ হবে তিন দিন।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মোবাইল অপারেটরগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন পলক। সেখানে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে পড়ে। তখন থেকে সব অপারেটরের থ্রি-জি ও ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে।
এরপর পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে ১৮ জুলাই রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই রাত থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাসাবাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি গুগল ক্যাশ সার্ভার ক্লিয়ার করায় ধীরে ধীরে ইন্টারনেটে স্বাভাবিক গতি ফিরছে।