রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু সমর্থন করি না। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী এমন হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে না। আমরা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু সমর্থন করি না। প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি চক্র যে আক্রমণ চালিয়েছে, তা কোনো সভ্য জাতি মেনে নিতে পারে না।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে বলেও উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা সহিংসতা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করে আসছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে। আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে তারা। নজিরবিহীন তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তরে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তারা এখনও বিশ্বাসঘাতক। ৭৫এ যারা জাতির পিতা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তারা এখনও বিশ্বাসঘাতক। ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ৭১, ৭৫, ২১ আগস্ট, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০২৪ এর বিশ্বাসঘাতক ও খুনিরা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু ও আনিসুল হকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।