প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪, ৯:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন
আগামীকাল বুধবার সকাল ১১ থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সকল অফিস ও বাণিজ্যিক ব্যাংক খোলা থাকবে। আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১১ থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সকল অফিস আদালত ও বাণিজ্যিক ব্যাংক খোলা থাকবে। এসময় পুজি বাজারও খোলা থাকবে।
এদিন জনপ্রশাসনের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহষ্পতিবার এ নিয়ম কার্যকর থাকবে।
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছেন, রাতেই সিমিত পরিসরে চালু হবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। তবে এখনই ফেসবুক ও ইউটিউব ব্যবহার করা যাবেনা। এর জন্য আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলন ঘিরে গত মঙ্গলবার দেশের কোথাও সংঘাত, সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলা শহরগুলোও মোটামুটি শান্ত ছিল। কয়েক দিন ধরে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চার ঘন্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়। এসময় বাজারসদাই করার জন্য অনেকে ঘরের বাইরে বের হন। কারফিউ শিথিলের ৪ ঘন্টা ঢাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষকে বাজার ও দোকানপাটে ভিড় করতে দেখা যায়। কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলন ঘিরে চার দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত, সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘাতে পৌনে দুইশর মতো প্রাণহানি হয়েছে।
কারফিউ চলাকালে রাজধানীর প্রধান প্রধান বিপণিবিতানগুলো আজ বন্ধ ছিল। সড়কে মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। অন্য যানবাহন খুব একটা দেখা যায়নি। আগের দুই দিনের মতো গতকালও রাজধানীর সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত ও প্যাডেলচালিত রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। এর আগে নির্বাহী আদেশে গত রোববার, সোমবার ও গতকাল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, কাল বিকাল ৫ টার পর পূনরায় চালু হবে কারফিউ। সময় আগের মতই তবে জরুরি পরিষেবা, যেমন বিদ্যুৎ পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস ও বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন। এছাড়া হাসপাতল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরাও এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন।
এছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চেকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরাও এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন। জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলোও এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। আদলতের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা দেবে।