প্রকাশ: বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪, ৬:০১ অপরাহ্ন
শেয়ারবাজারে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত হিমাদ্রির পরিশোধিত মূলধন খুবই কম। এ কারণে ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) থেকে এসএমইতে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকেই শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি শুরু হয়। যাতে করে ৩৫ টাকার শেয়ারটি ৮ হাজার ৯৪১ টাকায় উঠে যায়। অথচ এ কোম্পানিটিতে পরিশোধিত মূলধনের কয়েকগুণ সম্পদের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি নিরীক্ষক।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, হিমাদ্রির আর্থিক হিসাবে ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার অস্পর্শনীয় সম্পদ দেখানো হয়েছে। তবে নিরীক্ষক এ সম্পদের বাস্ততা খুঁজে পায়নি। এছাড়া কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই বিতর্কিত সম্পদ দেখালেও তার উপর অবচয় চার্জের পলিসি গ্রহণ করেনি এখনো।
এদিকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ৪৭ লাখ টাকার ক্যাপিটাল রিজার্ভ দেখিয়েছে। এ সম্পদের সত্যতাও পায়নি নিরীক্ষক। যে সম্পদ নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
শ্রম আইনকে তোয়াক্কা করছে না হিমাদ্রি কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিটিতে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডে (ডব্লিউপিপিএফ) ৭৭ লাখ টাকা থাকলেও তা বিতরণ করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
অথচ ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ী, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা এবং তা পরবর্তী ৯ মাসের কর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু হিমাদ্রি কর্তৃপক্ষ ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবসায় তা না করে কর্মীদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ওটিসি থেকে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত হওয়া হিমাদ্রির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৩৪ দশমিক ২৮ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে।