দেশের শেয়ারবাজারে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে সূচক ও লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকে শেয়ারবাজারে দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে। সর্বশেষ জুনে এক বছরের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দৈনিক গড় লেনদেন সর্বনিম্ন হয়েছে। মূলত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে করারোপের ঘোষণায় শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা।
ইবিএল সিকিউরিটিজের মাসিক শেয়ারবাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সদ্য সমাপ্ত জুনে শেয়ারবাজারে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ডিএসইতে গত বছরের জুনে দৈনিক গড় লেনদেন ৭ কোটি ৬০ লাখ, জুলাইয়ে ৭ কোটি ২০ লাখ, আগস্টে ৪ কোটি, সেপ্টেম্বরে ৫ কোটি ৭০ লাখ, অক্টোবরে ৪ কোটি ২০ লাখ, নভেম্বরে ৩ কোটি ৯০ লাখ, ডিসেম্বরে ৪ কোটি ৯০ লাখ এবং এ বছরের জানুয়ারিতে ৬ কোটি ৫০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১১ কোটি ৫০ লাখ, মার্চে ৫ কোটি ৪০ লাখ, এপ্রিলে ৪ কোটি ৭০ লাখ ও মে মাসে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
গত মে শেষে ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৫ হাজার ২৫২ পয়েন্টে। জুন শেষে সূচকটি ৭৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে।
জুনে গড় লেনদেন কমলেও শেয়ারবাজারের বাজার মূলধন বেড়েছে ১০৬ কোটি ডলার। গত এপ্রিলে বাজার মূলধন ছিল ৫ হাজার ৫০৫ কোটি ডলার, যা মে মাসে ৫ হাজার ৬১২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত মাসে জিডিপি ও বাজার মূলধনের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ২ শতাংশ। বর্তমানে দেশের বাজারের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ দশমিক ১৩।
গতকাল রোববার (৩০ জুন) বাজার পরিস্থিতি: গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের দুই শেয়ারবাজারেই সূচকের নিম্নমুখিতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক কমেছে ২২ পয়েন্ট। তবে গতকাল দুই এক্সচেঞ্জেই লেনদেন বেড়েছে।
ডিএসইতে গতকাল ৭১২ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৭০৬ কোটি টাকা। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৯৮টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ২৬৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টির বাজারদর।
দেশের আরেক শেয়ারবাজার সিএসইতে গতকাল ৬২৪ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১১৬ কোটি টাকা। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৩৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৩৬টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির বাজারদর।