প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪, ৭:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪, ৮:২৩ অপরাহ্ন
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড। সর্বশেষ সমাপ্ত বছরে (৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির লোকসান কমেছে। কমেছে কোম্পানির পরিচালনা ব্যয়ও। চলতি বছর শেষে (২০২৪) কোম্পানিটি মুনাফায় ফিরতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ সমাপ্ত বছরে ফার্স্ট ফাইন্যান্স বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২০ সাল থেকে কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দিতে পাচ্ছে না বিনিয়োগকারীদের। মূলত মুনাফা করতে না পারায় কোম্পানি ডিভিডেন্ড দিতে পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কোম্পানির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সর্বশেষ সমাপ্ত বছরে কোম্পানির পরিচালনা ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। ২০২২ সালে ৬৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা পরিচালনা ব্যয় হয়েছিল। আর সর্বশেষ সমাপ্ত বছরে পরিচালনা ব্যয় কমে দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৪৪ পয়সা। আগের বছর (৩১ ডিসেম্বর, ২০২২) একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ১৪ টাকা ৫২ পয়সা । ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট দায় ছিল ৩১ টাকা ৭১ পয়সা।
এদিকে গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৪- মার্চ’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৯৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ১ টাকা ৯১ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
সূত্র মতে, গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দায় দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৬৪ পয়সায়। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ জুলাই।
কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ একরামুর রহমান দৈনিক জবাবদিহিকে জানান, আমরা কোম্পানির ব্যয় অনেক কমিয়েছে। সর্বশেষ সমাপ্ত বছরে কোম্পানির লোকসানও অনেক কমেছে। আশা করছি চলতি বছরেই (২০২৪) মুনাফায় ফিরবে কোম্পানি। বিনিয়োগকারীদের হতাশ না হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৩টি; যার মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার রয়েছে ৪১ দশমিক ৩১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার রয়েছে ২১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার রয়েছে ৩৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।