প্রকাশ: শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪, ৬:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশকে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, যা দেশীয় মুদ্রায় ১০ হাজার ৫৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। জলবায়ু সহিষ্ণু ও টেকসই প্রবৃদ্ধি, শহরাঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্থিক পরিস্থিতি এবং আর্থিক খাতে নীতিমালা জোরাল করতে এ ঋণ দেয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (২২ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল (শুক্রবার) এই ঋণের অনুমোদন দেয় বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্য সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করবে। তিনি আরো বলেন, নতুন এই অর্থায়ন বাংলাদেশকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। একটি হচ্ছে, আর্থিক খাত ও নগর ব্যবস্থাপনা এবং অন্যটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, দুই কিস্তি ঋণের শেষ কিস্তি হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেয়া হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সংস্কারের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের গতি বাড়াবে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনসহ ভবিষ্যতে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে। এ ছাড়া অন্য একটি প্রকল্পে দেয়া হচ্ছে ৪০০ মিলিয়ন ডলার।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট এবং এই প্রোগ্রামের টাস্ক টিম লিডার বার্নার্ড হ্যাভেন এক বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ সরকার বাহ্যিক ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলায় শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংস্কার এবং আর্থিক খাত শক্তিশালী করার জন্য একটি নতুন আইনি কাঠামো গ্রহণ করেছে, যা ব্যাংক পুনরুদ্ধার কাঠামোকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। কম মূলধনী ব্যাংকগুলো সমস্যা মোকাবিলার জন্য একটি দ্রুত সংশোধনমূলক কর্মকাঠামো বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করবে। এটি অর্থনৈতিক মন্দা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষা করে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিও শক্তিশালী করবে।